Durga Puja 2023: কোন হাতে কোন অস্ত্র? দশভুজার অস্ত্রের গুরুত্ব ও তাত্‍পর্য জানেন না অনেকেই

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস

Oct 18, 2023 | 7:33 PM

Mythology: হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, ১৫ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে শারদীয়া দুর্গাপুজো। মহালয়ায় অবসান ঘটে পিতৃপক্ষের। সূচনা হয় দেবীপক্ষের। হিন্দুধর্মে দুর্গাকে শক্তির দেবী তথা আদ্যাশক্তি হিসেবে পূজিত করা হয়। অশুভ শক্তিকে বিনাশ করে গোটা বিশ্বকে রক্ষা করেন। অসুরদের বিনাশ করার জন্যই দেবী মহামায়া আবির্ভূতা হয়েছিলেন। দেবী দুর্গা সিংহে চেপে মর্ত্যে আগমন করেন। রয়েছে ৮টি হাত। তাই জন্য দেবীকে কখনও অষ্টভুজাধারী ও মহিষাসুরমর্দিনীও বলা হয়ে থাকে।

1 / 13
হিন্দুধর্মে নবরাত্রি তথা শারদীয়া দুর্গাপুজোর একটি আলাদা গুরুত্ব ও তাত্‍পর্য রয়েছে। ছোটবেলা থেকেই আমরা দুর্গার দশভুজা মৃন্ময়ী মূর্তি দেখে আসছি। দশ হাতে দশ অস্ত্র-শস্ত্র সাজিয়ে মর্ত্যে আগমন ঘটে। বাঙালির কাছে দুর্গা আদতে কন্যাসমা উমা হিসেবে পূজিত হনয সিংহের উপর চড়ে মা দুর্গা মূর্তি কখনও স্নেহময়ী, রূদ্রমূর্তি, মাতৃমূর্তি রূপে অবতীর্ণ হন।

হিন্দুধর্মে নবরাত্রি তথা শারদীয়া দুর্গাপুজোর একটি আলাদা গুরুত্ব ও তাত্‍পর্য রয়েছে। ছোটবেলা থেকেই আমরা দুর্গার দশভুজা মৃন্ময়ী মূর্তি দেখে আসছি। দশ হাতে দশ অস্ত্র-শস্ত্র সাজিয়ে মর্ত্যে আগমন ঘটে। বাঙালির কাছে দুর্গা আদতে কন্যাসমা উমা হিসেবে পূজিত হনয সিংহের উপর চড়ে মা দুর্গা মূর্তি কখনও স্নেহময়ী, রূদ্রমূর্তি, মাতৃমূর্তি রূপে অবতীর্ণ হন।

2 / 13
হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, ১৫ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে শারদীয়া দুর্গাপুজো। মহালয়ায় অবসান ঘটে পিতৃপক্ষের। সূচনা হয় দেবীপক্ষের। হিন্দুধর্মে দুর্গাকে শক্তির দেবী তথা আদ্যাশক্তি হিসেবে পূজিত করা হয়। অশুভ শক্তিকে বিনাশ করে গোটা বিশ্বকে রক্ষা করেন।

হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, ১৫ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে শারদীয়া দুর্গাপুজো। মহালয়ায় অবসান ঘটে পিতৃপক্ষের। সূচনা হয় দেবীপক্ষের। হিন্দুধর্মে দুর্গাকে শক্তির দেবী তথা আদ্যাশক্তি হিসেবে পূজিত করা হয়। অশুভ শক্তিকে বিনাশ করে গোটা বিশ্বকে রক্ষা করেন।

3 / 13
অসুরদের বিনাশ করার জন্যই দেবী মহামায়া আবির্ভূতা হয়েছিলেন। দেবী দুর্গা সিংহে চেপে মর্ত্যে আগমন করেন। রয়েছে ৮টি হাত। তাই জন্য দেবীকে কখনও অষ্টভুজাধারী ও মহিষাসুরমর্দিনীও বলা হয়ে থাকে।

অসুরদের বিনাশ করার জন্যই দেবী মহামায়া আবির্ভূতা হয়েছিলেন। দেবী দুর্গা সিংহে চেপে মর্ত্যে আগমন করেন। রয়েছে ৮টি হাত। তাই জন্য দেবীকে কখনও অষ্টভুজাধারী ও মহিষাসুরমর্দিনীও বলা হয়ে থাকে।

4 / 13
দশভুজা বললেও দুর্গার আট হাতে থাকে বিভিন্ন অস্ত্র। অসুর বধের জন্য মহামায়ার সৃষ্টি হলে স্বর্গের সব দেবতারা দেবী দুর্গাকে তাদের সেরা অস্ত্র দিয়ে সাজিয়েছিসেন। তাঁকে সহরূপিণী রূপে সজ্জিত করেছিলেন। সেইসব অস্ত্র দিয়েই মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। হিন্দুশাস্ত্র অনুসারে, দুর্গার হাতে থাকা অস্ত্রগুলিকে শক্তির প্রতীক ধরা হয়।

দশভুজা বললেও দুর্গার আট হাতে থাকে বিভিন্ন অস্ত্র। অসুর বধের জন্য মহামায়ার সৃষ্টি হলে স্বর্গের সব দেবতারা দেবী দুর্গাকে তাদের সেরা অস্ত্র দিয়ে সাজিয়েছিসেন। তাঁকে সহরূপিণী রূপে সজ্জিত করেছিলেন। সেইসব অস্ত্র দিয়েই মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। হিন্দুশাস্ত্র অনুসারে, দুর্গার হাতে থাকা অস্ত্রগুলিকে শক্তির প্রতীক ধরা হয়।

5 / 13
সিংহে চড়ে: মহামায়া সিংহে চড়ে মর্ত্যে আসেন।  সিংহ হল হিংস্রতার প্রতীক।  সিংহের উপর চড়ে আসার অর্থ হল যে আক্রমণাত্মক বা হিংসাত্মক প্রবণতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন যিনি, তিনিই শক্তিশালী।

সিংহে চড়ে: মহামায়া সিংহে চড়ে মর্ত্যে আসেন। সিংহ হল হিংস্রতার প্রতীক। সিংহের উপর চড়ে আসার অর্থ হল যে আক্রমণাত্মক বা হিংসাত্মক প্রবণতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন যিনি, তিনিই শক্তিশালী।

6 / 13
ত্রিশূল: দুর্গার চতুর্থ বাম নীচের হাতে একটি ত্রিশূল থাকে। এই ত্রিশূল হল দেবীর সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র। এই ত্রিশূল দিয়ে মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। মহাদেব নিজের সর্বশক্তিশালী এই ত্রিশূল প্রদান করেছিলেন মহামায়াকে। সাহসের প্রতীক বলে মনে করা হয় এই ত্রিশূল। ত্রিশূলের তিনটি অংশে রয়েছে তিনটি গুণ- সত্য, তম ও রাজা।

ত্রিশূল: দুর্গার চতুর্থ বাম নীচের হাতে একটি ত্রিশূল থাকে। এই ত্রিশূল হল দেবীর সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র। এই ত্রিশূল দিয়ে মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। মহাদেব নিজের সর্বশক্তিশালী এই ত্রিশূল প্রদান করেছিলেন মহামায়াকে। সাহসের প্রতীক বলে মনে করা হয় এই ত্রিশূল। ত্রিশূলের তিনটি অংশে রয়েছে তিনটি গুণ- সত্য, তম ও রাজা।

7 / 13
ওম: দেবী দুর্গা এক হাতে ভক্তদের আশীর্বাদ করেন। ডান হাতে ‘ওম’ লেখা থাকে। ওম আধ্যাত্মিকতা অনুভূতি প্রদান করে। সমস্ত শক্তি এই ওম শব্দের মধ্যেই নিহিত রয়েছে বলে মনে করা হয় হিন্দুধর্মে।

ওম: দেবী দুর্গা এক হাতে ভক্তদের আশীর্বাদ করেন। ডান হাতে ‘ওম’ লেখা থাকে। ওম আধ্যাত্মিকতা অনুভূতি প্রদান করে। সমস্ত শক্তি এই ওম শব্দের মধ্যেই নিহিত রয়েছে বলে মনে করা হয় হিন্দুধর্মে।

8 / 13
পদ্ম ফুল: দেবী দুর্গার তৃতীয় নীচের বাম হাতে একটি পদ্ম ফুল রয়েছে। হিন্দু ধর্মে এই পবিত্র ফুল হল ত্যাগের প্রতীক। এর অর্থ হল, বাইরের জগতের প্রতি আসক্তি ছাড়াই জীবের এই ধরিত্রীতে বসবাস করা উচিত।

পদ্ম ফুল: দেবী দুর্গার তৃতীয় নীচের বাম হাতে একটি পদ্ম ফুল রয়েছে। হিন্দু ধর্মে এই পবিত্র ফুল হল ত্যাগের প্রতীক। এর অর্থ হল, বাইরের জগতের প্রতি আসক্তি ছাড়াই জীবের এই ধরিত্রীতে বসবাস করা উচিত।

9 / 13
সুদর্শন চক্র: দুর্গার তর্জনীতে সুদর্শন চক্র থাকে। শ্রীকৃষ্ণ দুর্গাকে তাঁর প্রিয় অস্ত্র প্রদান করেছিলেন। এই সুদর্শন চক্রের দ্বারাই গোটা বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণে রাখেন তিনি। সমস্ত সৃষ্টিক নিয়ন্ত্রণকর্তী হলেন তিনি। এছাড়াও, সুদর্শন চক্রও কর্তব্য ও ধার্মিকতার প্রতীক। জীবনে আমাদের কর্তব্য পালন করতে শেখায়।

সুদর্শন চক্র: দুর্গার তর্জনীতে সুদর্শন চক্র থাকে। শ্রীকৃষ্ণ দুর্গাকে তাঁর প্রিয় অস্ত্র প্রদান করেছিলেন। এই সুদর্শন চক্রের দ্বারাই গোটা বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণে রাখেন তিনি। সমস্ত সৃষ্টিক নিয়ন্ত্রণকর্তী হলেন তিনি। এছাড়াও, সুদর্শন চক্রও কর্তব্য ও ধার্মিকতার প্রতীক। জীবনে আমাদের কর্তব্য পালন করতে শেখায়।

10 / 13
শঙ্খ: দুর্গার উপরের হাতে একটি শঙ্খ থাকে যা সুখের প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। স্বর্গ, নরক ও মর্ত্যের সমস্ত অশুভ শক্তি শঙ্খের শব্দে ভীত-সন্তস্ত্র হয়ে পড়ে। বরুণ দেবের কাছ থেকে এই শঙ্খ পেয়েছিলেন বিশ্বজননী।

শঙ্খ: দুর্গার উপরের হাতে একটি শঙ্খ থাকে যা সুখের প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। স্বর্গ, নরক ও মর্ত্যের সমস্ত অশুভ শক্তি শঙ্খের শব্দে ভীত-সন্তস্ত্র হয়ে পড়ে। বরুণ দেবের কাছ থেকে এই শঙ্খ পেয়েছিলেন বিশ্বজননী।

11 / 13
ধনুক ও তীর: দুর্গার দ্বিতীয় বাম নীচের হাতে একটি ধনুক ও তীর ধরে আছেন যা শক্তি এবং শক্তির প্রতীক। রাক্ষস-অসুরদের সঙ্গে যুদ্ধ করার সময় দেবী এই দুই অস্ত্র ব্যবহার করেছিলেন। পবনদেব মহামায়াকে অস্ত্র দিয়ে সাজাবার সময় তীর-ধনুক অর্পণ করেছিলেন।

ধনুক ও তীর: দুর্গার দ্বিতীয় বাম নীচের হাতে একটি ধনুক ও তীর ধরে আছেন যা শক্তি এবং শক্তির প্রতীক। রাক্ষস-অসুরদের সঙ্গে যুদ্ধ করার সময় দেবী এই দুই অস্ত্র ব্যবহার করেছিলেন। পবনদেব মহামায়াকে অস্ত্র দিয়ে সাজাবার সময় তীর-ধনুক অর্পণ করেছিলেন।

12 / 13
তলোয়ার: উমার দ্বিতীয় ডান নীচের হাতে একটি তলোয়ার রয়েছে। এই অস্ত্র অশুভ ও প্রজ্ঞা নির্মূলের প্রতীক। কথিত আছে, গণেশ দুর্গাকে একটি তলোয়ার উপহার দিয়েছিলেন।

তলোয়ার: উমার দ্বিতীয় ডান নীচের হাতে একটি তলোয়ার রয়েছে। এই অস্ত্র অশুভ ও প্রজ্ঞা নির্মূলের প্রতীক। কথিত আছে, গণেশ দুর্গাকে একটি তলোয়ার উপহার দিয়েছিলেন।

13 / 13
গদা: দুর্গার ডান নীচের হাতে একটি গদা রয়েছে। যমরাজ দুর্গাকে গদা প্রদান করেছিলেন। যমরাজের গদাকে কালাদন্ড বলা হয়। এই শক্তিশালী শক্তি, আনুগত্য, প্রেম ও ভক্তির প্রতীক।

গদা: দুর্গার ডান নীচের হাতে একটি গদা রয়েছে। যমরাজ দুর্গাকে গদা প্রদান করেছিলেন। যমরাজের গদাকে কালাদন্ড বলা হয়। এই শক্তিশালী শক্তি, আনুগত্য, প্রেম ও ভক্তির প্রতীক।

Next Photo Gallery