
বিভিন্ন ধরণের রঙিন ফল এবং শাকসবজি এবং পুরো শস্য খাওয়া এবং লাল এবং প্রক্রিয়াজাত মাংস, চিনি-মিষ্টিযুক্ত পানীয় এবং উচ্চ প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়ানো উচিত। এই ধরণের ক্যান্সার এড়াতে আপনার জীবনধারায় কিছু পরিবর্তন আনা উচিত।

ভারতে পাকস্থলীর ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের প্রাথমিক পর্যায়ে মাত্র ২০ শতাংশেরও কম নির্ণয় করা হয়। যেখানে ৫০ শতাংশ কর্কট রোগ প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছে গেলে তা ধরা পড়ে। তার মধ্যে আবার 25-30% ব্যাপক বা মেটাস্ট্যাটিক রোগ থাকে।

পেটের ক্যান্সার ভারতে পুরুষদের মধ্যে সর্বাধিক সাধারণ ক্যান্সার। ক্যানসারের প্রকার তালিকায় তৃতীয়। এবং ১৫-৪৪ বছর বয়সী ভারতীয় পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে ক্যানসারজনিত মৃত্যুর সবচেয়ে সাধারণ কারণ। যা তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

পেটের ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণগুলি হল, কিছু গিলতে অসুবিধা (ডিসফ্যাগিয়া), ফুলে যাওয়া বা পূর্ণ বোধ করা, পেটে অস্বস্তিবোধ, ক্রমাগত অম্বল বা বদহজম, ক্রমাগত বমি বমি ভাব, পেটে ব্যথা, রক্তবমি, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ফোলাভাব।

পাকস্থলীর ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে এমন খাবার এড়িয়ে চলা প্রতিরোধের প্রথম পদক্ষেপ। সেগুলি কী কী তা দেখে নেওয়া যাক একঝলকে...

রেড মিট: গরুর মাংস, ভেড়ার মাংস এবং শুয়োরের মাংসকে গ্রুপ ২-এ কার্সিনোজেন হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। যার অর্থ ক্যানসারের কারণ। রেড মিটের বেশি পরিমাণে খাওয়া মানেই গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রায় ৪৫% বেড়ে যাওয়া।

স্যাচুরেটেড ফ্যাট: কেক, বিস্কুট, পুডিং এবং প্রক্রিয়াজাত মাংস হল স্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবারের উদাহরণ।

অ্যালকোহল: এটি কোষে কার্সিনোজেনের অনুপ্রবেশ বাড়ায়। অ্যালকোহল কোষের অ্যাপোপটোসিস সঞ্চালনের ক্ষমতাকেও প্রভাবিত করে যার ফলে কর্কটকোষের সৃষ্টির ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

ধূমপান:ধূমপান পাকস্থলীর ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। বিশেষ করে খাদ্যনালীর কাছে পাকস্থলীর উপরের অংশের ক্যানসারের জন্য। যারা ধূমপান করেন তাদের মধ্যে পাকস্থলীর ক্যানসারের হার প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করার জন্য আমাদের পর্যাপ্ত ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের প্রয়োজন৷ ফল, শাকসবজি এবং বাদাম এমন খাদ্য গ্রুপ যা আমাদের প্রতিদিন খাওয়া উচিত।