
বাজার কাঁপাচ্ছে এই সব ইলেকট্রিক স্কুটার, বাস ভাড়ার চেয়েও কম খরচে এবার পৌঁছে যাবে অফিস। ব্যাটারিতে চলার কারণে ইলেকট্রিক স্কুটার চলায় কোনও আওয়াজ বা পরিবেশ দূষণ হয় না। আর তেল কিনতে হয় না বলে অনেক কম খরচেই পৌঁছে যাওয়া যায় নিজের গন্তব্যে।

ইলেকট্রিক স্কুটারে চলমান যন্ত্রাংশের পরিমাণ অনেক কম, ফলে খারাপ হওয়ার সম্ভাবনাও পেট্রোল স্কুটারের তুলনায় অনেকটা কম।

ইলেকট্রিক স্কুটারে অ্যাপ কানেক্টিভিটি, ব্লুটুথ, টাচ স্ক্রিন বা গুগল ম্যাপের মতো নানা ধরনের ফিচার রয়েছে। রয়েছে ঢালু জায়গায় গড়িয়ে যাওয়া থেকে আটকানোর মতো ফিচারও। দামের দিক থেকে দেখলে দেশের প্রথম ৫ সংস্থা ৭৫ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকার মধ্যে তাদের ইলেকট্রিক স্কুটারগুলো বিক্রি করে।

ইলেকট্রিক স্কুটারের কথা বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হয় এথার ইলেকট্রিকের কথা। গত ১০ বছর ধরে ভারতে ইলেকট্রিক স্কুটার তৈরি করছে এই সংস্থা। বর্তমান এথারের ৪৫০ সিরিজ ও রিজতা সিরিজ বাজারে পাওয়া যায়। ১০০ থেকে ১৩০ কিলোমিটারের মধ্যে ট্রু রেঞ্জ দেয় এই স্কুটারগুলো। আর এথারের স্কুটারের ড্যাশবোর্ডে যা রেঞ্জ দেখায়, স্কুটারগুলো সেই রেঞ্জই দেয় গ্রাহকদের।

ভারতের ইলেকট্রিক স্কুটারের বাজার ২০২১ সালের পর থেকে যে চড়চড়িয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে তার একমাত্র কারণ বাজারে ওলার ঝাঁপিয়ে পড়া। তবে এই স্কুটারের ফ্রন্ট ফর্ক ভেঙে যাওয়া বা আগুন লেগে যাওয়ার মতো সমস্যার পরও মানুষের কাছে ছড়িয়ে পড়েছে ওলা স্কুটারের নাম।

বাজাজ চেতক এই সেগমেন্টের একমাত্র স্কুটার যা তৈরিতে ফাইবারের পরিবর্তে ধাতব প্লেট ব্যবহৃত হয়েছে। স্কুটার বিক্রিতে প্রথম তিনের মধ্যে থাকে বাজাজের এই স্কুটার।

টিভিএস আইকিউব শুরু থেকেই ফ্যামিলি ইলেকট্রিক স্কুটার হিসাবে ভারতীয়দের মন জয় করে নিয়েছে। এর একমাত্র সমস্যার দিক হল এই স্কুটারে বাকি স্কুটারগুলোর মতো মিড ড্রাইভ মোটর ব্যবহার না করে চাকার সঙ্গে যুক্ত বিএলডিসি মোটর ব্যবহার করা হয়েছে।

দেশের সবচেয়ে বড় দ্বিচক্রযান প্রস্তুতকারক সংস্থা হিরো মোটো কর্প। আর সেই হিরো সংস্থা ভিডা ব্র্যান্ডের অধীনে নিজেদের ইলেকট্রিক স্কুটার বের করে। হিরো ভিডা আর এথার নিজেদের মধ্যে চার্জিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ার করে।