
মহাকুম্ভের সময়, সারা দশের আখড়া থেকে নাগা সাধু এবং সাধুরাও এসে ভিড় জমান, এখানে স্নান করেন। বিশেষ করে মহাকুম্ভে বহু মানুষ অমৃত স্নান করে দেশজুড়ে আগত সাধু-ঋষিদের দর্শন করতে এবং তাদের আশীর্বাদ নিতেও এসেছিলেন।

কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে নাগা সাধুরা তাদের নিজ নিজ আখড়ায় ফিরে যাচ্ছেন। সকলের মনেই একটা প্রশ্ন, মহাকুম্ভ চলবে সেই শিবরাত্রি অর্থাৎ ২৬ ফেব্রুয়ারি অবধি। তাহলে এখনই কেন প্রয়াগ ত্যাগ করছেন নাগা সন্ন্যাসীরা?

নাগা সন্ন্যাসীরা তাঁদের জীবনের সব আরাম ত্যাগ করে সম্পূর্ণরূপে ধ্যানে নিমগ্ন থাকেন। সাধারণত তাঁরা আশ্রম, পাহাড় এবং বনে, সাধারণ লোক চক্ষুর আড়ালে থেকে তপস্যা করেন। যখনই কুম্ভমেলা আয়োজন হয়, তখনই তাঁরা এসে হাজির হন কুম্ভে, পুণ্য স্নান করেন।

এবার ১৪৪ বছর পরে প্রয়াগরাজে আয়োজিত মহাকুম্ভের প্রথম অমৃত স্নান অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৪ জানুয়ারি, মকর সংক্রান্তিতে। দ্বিতীয় অমৃতস্নান হয় মৌনী অমাবস্যার দিনে এবং তৃতীয়টি বসন্ত পঞ্চমীর দিনে।

ঋষি-সাধুদের কাছে অমৃত স্নানের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। বিশ্বাস, অমৃত স্নান করলে এক হাজার অশ্বমেধ যজ্ঞ করার পুণ্য লাভ হয়। মহাকুম্ভে অমৃত স্নানের পর, সাধু-ঋষিরা ধ্যান করেন এবং ধর্মীয় জ্ঞান নিয়ে আলোচনা করেন।

এই কারণে, বসন্ত পঞ্চমীর দিনে তৃতীয় ও শেষ অমৃত স্নান করার পর, নাগা সন্ন্যাসীরা তাঁদের নিজ নিজ আখড়ায় ফিরে যান। কুম্ভ প্রাঙ্গন ত্যাগ করেন।

প্রসঙ্গত, সারা বছর এই নাগা সাধুদের দেখা পাওয়া যায় না। কিন্তু কুম্ভের সময় ঠিক এসে হাজির হন তাঁরা। বিশ্বাস স্বয়ং ঈশ্বর নাগা সন্ন্যাসীদের কুম্ভের নিমন্ত্রণ দেন।

পরবর্তী কুম্ভ আয়োজন হবে ২০২৭ সালে নাসিকে। নাগা সন্ন্যাসীদের আবার দেখা মিলবে ২০২৭ সালে। গোদাবরী নদীর তীরে নাসিকে আয়োজন করা হবে কুম্ভের।