Detention Camp Dark Truth: ঠান্ডা ঘরে ঢুকিয়ে নগ্ন করা হত, গায়ে ঢালা হত জল, তারপর… জেলের ভিতরেই কি না চলে এসব… শুনে শিউরে উঠবেন

Dec 23, 2024 | 4:32 PM

Detention Camp Dark Truth: অভিযুক্তদের জেরা করার জন্য এবং রাখার জন্য আলাদা তৈরি করা হয়েছিল 'গুয়ান্তানামো বে ডিটেনশন' ক্যাম্প বা গুয়ান্তানামো কারাগার।

1 / 8
৯/১১'য় আমেরিকার টুইন টাওয়ার মাটিতে মিশে যাওয়ার সেই ভয়ানক দিন আজও ভুলতে পারেনি গোটা বিশ্ব। সেই নাশকতার মূল পাণ্ডা ছিলেন ওসামা বিন লাদেন। তবে সে একা নয়, জঘন্য এই অপরাধে যুক্ত ছিল আরও অনেকেই। এই ঘটনার পরেই কড়া হাতে জঙ্গী দমনে নামে মার্কিন সরকার। একের পর এক সন্দেহভাজনদের যখন তখন গ্রেফতার করা হত। তাঁদের উপর নির্মম অত্যাচার। যার খানিকটা আন্দাজ আমরা দেখতে পাই বলিউডের 'নিউ ইয়র্ক' বা 'মাই নেম ইজ খান' সিনেমা দেখলেই।

৯/১১'য় আমেরিকার টুইন টাওয়ার মাটিতে মিশে যাওয়ার সেই ভয়ানক দিন আজও ভুলতে পারেনি গোটা বিশ্ব। সেই নাশকতার মূল পাণ্ডা ছিলেন ওসামা বিন লাদেন। তবে সে একা নয়, জঘন্য এই অপরাধে যুক্ত ছিল আরও অনেকেই। এই ঘটনার পরেই কড়া হাতে জঙ্গী দমনে নামে মার্কিন সরকার। একের পর এক সন্দেহভাজনদের যখন তখন গ্রেফতার করা হত। তাঁদের উপর নির্মম অত্যাচার। যার খানিকটা আন্দাজ আমরা দেখতে পাই বলিউডের 'নিউ ইয়র্ক' বা 'মাই নেম ইজ খান' সিনেমা দেখলেই।

2 / 8
অভিযুক্তদের জেরা করার জন্য এবং রাখার জন্য আলাদা তৈরি করা হয়েছিল 'গুয়ান্তানামো বে ডিটেনশন' ক্যাম্প বা  গুয়ান্তানামো কারাগার। কেবল জঙ্গী সন্দেহে কাউকে গ্রেফতার করা হলেই রাখা হত সেই ডিটেনশন ক্যাম্পে। সেখানেই রেখেই চলত তদন্ত আর জেরা। কিন্তু কেমন ছিল সেই জেলের ভিতরের চিত্রটা? কী ভাবে রাখা হত তাঁদের? সেই তথ্যই সম্প্রতি সামনে এসেছে। কী ভাবে আমেরিকার তদন্তকারী সংস্থা সিআইএ জেল বন্দীদের উপরে অমানুষিক অত্যাচার চালাত তাও জানা গিয়েছে।

অভিযুক্তদের জেরা করার জন্য এবং রাখার জন্য আলাদা তৈরি করা হয়েছিল 'গুয়ান্তানামো বে ডিটেনশন' ক্যাম্প বা গুয়ান্তানামো কারাগার। কেবল জঙ্গী সন্দেহে কাউকে গ্রেফতার করা হলেই রাখা হত সেই ডিটেনশন ক্যাম্পে। সেখানেই রেখেই চলত তদন্ত আর জেরা। কিন্তু কেমন ছিল সেই জেলের ভিতরের চিত্রটা? কী ভাবে রাখা হত তাঁদের? সেই তথ্যই সম্প্রতি সামনে এসেছে। কী ভাবে আমেরিকার তদন্তকারী সংস্থা সিআইএ জেল বন্দীদের উপরে অমানুষিক অত্যাচার চালাত তাও জানা গিয়েছে।

3 / 8
২০০২ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের নির্দেশে তৈরি করা হয় গুয়ান্তানামো ডিটেনশন ক্যাম্প। সেখানেই দীর্ঘ দিন বন্দি ছিলেন ৯/১১ হামলায় যুক্ত এবং অন্যতম চক্রী মোহাম্মদ ফারিক বিন আমিন। জেলে বন্দী থাকার সময়ে তাঁর উপর চলে অকথ্য অত্যাচার। যা শোনার জন্য কেউ ছিল না। কিন্তু সেই সব অত্যাচারের কাহিনী, কী ভাবে তাঁদের জেরা করা হত, সেই সব অনেক ছবির মাধ্যমে নথিভুক্ত করে রাখেন মোহাম্মদ ফারিক। সেই সব ছবি চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে আদালতে একটি মুখ বন্ধ খামে জমা দেওয়া হয়েছে প্রমাণ সরূপ।

২০০২ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের নির্দেশে তৈরি করা হয় গুয়ান্তানামো ডিটেনশন ক্যাম্প। সেখানেই দীর্ঘ দিন বন্দি ছিলেন ৯/১১ হামলায় যুক্ত এবং অন্যতম চক্রী মোহাম্মদ ফারিক বিন আমিন। জেলে বন্দী থাকার সময়ে তাঁর উপর চলে অকথ্য অত্যাচার। যা শোনার জন্য কেউ ছিল না। কিন্তু সেই সব অত্যাচারের কাহিনী, কী ভাবে তাঁদের জেরা করা হত, সেই সব অনেক ছবির মাধ্যমে নথিভুক্ত করে রাখেন মোহাম্মদ ফারিক। সেই সব ছবি চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে আদালতে একটি মুখ বন্ধ খামে জমা দেওয়া হয়েছে প্রমাণ সরূপ।

4 / 8
মালয়েশিয়ার নাগরিক বিন আমিন, ২০০৩ সালে সিআইএ-এর হাতে আটক হয়। প্রথমে তাঁকে রাখা হয়েছিল সিআইএ পরিচালিত ব্ল্যাক সাইটে। পরে গুয়ান্তানামো কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর আঁকা ছবি থেকেই দেখা গিয়েছে জোর করে নগ্ন করে রেখে দেওয়া, কষ্টকর কায়দায় দাঁড় করিয়ে রাখা, দিনের পর দিন ঘুমোতে না দেওয়ার মতো একাধিক নির্যাতনের সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁকে।

মালয়েশিয়ার নাগরিক বিন আমিন, ২০০৩ সালে সিআইএ-এর হাতে আটক হয়। প্রথমে তাঁকে রাখা হয়েছিল সিআইএ পরিচালিত ব্ল্যাক সাইটে। পরে গুয়ান্তানামো কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর আঁকা ছবি থেকেই দেখা গিয়েছে জোর করে নগ্ন করে রেখে দেওয়া, কষ্টকর কায়দায় দাঁড় করিয়ে রাখা, দিনের পর দিন ঘুমোতে না দেওয়ার মতো একাধিক নির্যাতনের সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁকে।

5 / 8
বিন আমিনের আইনজীবী ক্রিস্টিন ফাঙ্ক আমিনের স্বপক্ষে আদালতে সওয়াল করতে গিয়ে এই সব ছবি পেশ করে বলেন, "এটাকেই দুঃস্বপ্ন বলে। এই ভাবেই মোহাম্মদকে বাঁচতে হয়েছে।" বিন আমিনের আইনজীবীর দল বহু বছরের চেষ্টার পর জেলে আঁকা সেই সব ছবির মানে উদ্ধার করতে পেরেছিল। প্রসঙ্গত, আদালতে বড় পর্দায় এই সব ছবি পেশ করার সময় সরকারের তরফে কোনও আপত্তি করা হয়নি। ৯/১১-পরবর্তী যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের অফিসিয়াল রেকর্ডে এই প্রথম এই ধরনের ছবি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।

বিন আমিনের আইনজীবী ক্রিস্টিন ফাঙ্ক আমিনের স্বপক্ষে আদালতে সওয়াল করতে গিয়ে এই সব ছবি পেশ করে বলেন, "এটাকেই দুঃস্বপ্ন বলে। এই ভাবেই মোহাম্মদকে বাঁচতে হয়েছে।" বিন আমিনের আইনজীবীর দল বহু বছরের চেষ্টার পর জেলে আঁকা সেই সব ছবির মানে উদ্ধার করতে পেরেছিল। প্রসঙ্গত, আদালতে বড় পর্দায় এই সব ছবি পেশ করার সময় সরকারের তরফে কোনও আপত্তি করা হয়নি। ৯/১১-পরবর্তী যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের অফিসিয়াল রেকর্ডে এই প্রথম এই ধরনের ছবি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।

6 / 8
ছবিতে দেখা গিয়েছে কখনও বন্দিদের দাঁড় করিয়ে রেখে দেওয়া হত, দীর্ঘ সময়ের জন্য। ঘুমোতে পর্যন্ত দেওয়া হত না। কখনও দেখা যাচ্ছে আমিনের উপর অত্যন্ত ভারী ওজনের কিছু চাপিয়ে তাঁকে বেঁধে রেখে দেওয়া হয়েছে, যাতে তীব্র যন্ত্রণা অনুভূত হয়। অন্য আরেকটি ছবিতে দেখা যায় আমিনকে শিকলের সাহায্যে বেঁধে রাখা হয়েছে। হাঁটুর পিছনে ঝাটা দিয়ে উবু হয়ে বসিয়ে রাখা হয়েছে। এটি সিআইএ-র জিজ্ঞাসাবাদের এক বিশেষ পদ্ধতি। যা পরবর্তীকালে নিষিদ্ধ হয়ে যায়।

ছবিতে দেখা গিয়েছে কখনও বন্দিদের দাঁড় করিয়ে রেখে দেওয়া হত, দীর্ঘ সময়ের জন্য। ঘুমোতে পর্যন্ত দেওয়া হত না। কখনও দেখা যাচ্ছে আমিনের উপর অত্যন্ত ভারী ওজনের কিছু চাপিয়ে তাঁকে বেঁধে রেখে দেওয়া হয়েছে, যাতে তীব্র যন্ত্রণা অনুভূত হয়। অন্য আরেকটি ছবিতে দেখা যায় আমিনকে শিকলের সাহায্যে বেঁধে রাখা হয়েছে। হাঁটুর পিছনে ঝাটা দিয়ে উবু হয়ে বসিয়ে রাখা হয়েছে। এটি সিআইএ-র জিজ্ঞাসাবাদের এক বিশেষ পদ্ধতি। যা পরবর্তীকালে নিষিদ্ধ হয়ে যায়।

7 / 8
মক ওয়াটারবোর্ডিং-এর ছবি দেখতে পাওয়া গিয়েছে। সেখানে অপরাধীর সম্পূর্ণ মুখ বেধে দিয়ে তার পর জল ঢালা হয় পর পর। এই সময় শ্বাস আটকে আসে। এমনকি ডুবে যাওয়ার ভয় তৈরি হয়। অথবা কখনও আমিনকে প্রচন্ড  ঠান্ডা কোনও ঘরে, যার তাপমাত্রা হয়তো হিমাঙ্কের নীচে, সেখানে শিকল পরিয়ে, নগ্ন করে রেখে দেওয়া হত। কখনও এমন কিছু শব্দ করা হত যাতে শরীরের মধ্যে প্রচন্ড অস্বস্তি তৈরি হয়। কখনও হয়তো সম্পূর্ণ একটি ঘরে শিকলের সাহায্যে দেওয়ালের সঙ্গে বেঁধে ফেলে রাখা হত বা ঝুলিয়ে দেওয়া হত।

মক ওয়াটারবোর্ডিং-এর ছবি দেখতে পাওয়া গিয়েছে। সেখানে অপরাধীর সম্পূর্ণ মুখ বেধে দিয়ে তার পর জল ঢালা হয় পর পর। এই সময় শ্বাস আটকে আসে। এমনকি ডুবে যাওয়ার ভয় তৈরি হয়। অথবা কখনও আমিনকে প্রচন্ড ঠান্ডা কোনও ঘরে, যার তাপমাত্রা হয়তো হিমাঙ্কের নীচে, সেখানে শিকল পরিয়ে, নগ্ন করে রেখে দেওয়া হত। কখনও এমন কিছু শব্দ করা হত যাতে শরীরের মধ্যে প্রচন্ড অস্বস্তি তৈরি হয়। কখনও হয়তো সম্পূর্ণ একটি ঘরে শিকলের সাহায্যে দেওয়ালের সঙ্গে বেঁধে ফেলে রাখা হত বা ঝুলিয়ে দেওয়া হত।

8 / 8
জানুয়ারি মাসে তার বিচার প্রক্রিয়া চলাকালীন সময়ে এই সব ছবি পেশ করা হয় আদালতে। যদিও বিন আমিন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা আদালতে স্বীকার করে নিয়েছেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার চরমপন্থী সংগঠন জেমাহ ইসলামিয়ার সঙ্গে জড়িত থাকার কথাও স্বীকার নিয়েছেন সে। ২০০২ সালে বালিতে বোমা হামলায় ২০২ জনের প্রাণ যায়। সেই হামলাতেও সহযোগী ছিলেন মোহাম্মদ ফারিক বিন আহমেদ। হামলার মূল অভিযুক্তকে পালাতে সাহায্য করেছিলেন মোহাম্মদ। (সব ছবি - Getty Images and Meta AI)

জানুয়ারি মাসে তার বিচার প্রক্রিয়া চলাকালীন সময়ে এই সব ছবি পেশ করা হয় আদালতে। যদিও বিন আমিন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা আদালতে স্বীকার করে নিয়েছেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার চরমপন্থী সংগঠন জেমাহ ইসলামিয়ার সঙ্গে জড়িত থাকার কথাও স্বীকার নিয়েছেন সে। ২০০২ সালে বালিতে বোমা হামলায় ২০২ জনের প্রাণ যায়। সেই হামলাতেও সহযোগী ছিলেন মোহাম্মদ ফারিক বিন আহমেদ। হামলার মূল অভিযুক্তকে পালাতে সাহায্য করেছিলেন মোহাম্মদ। (সব ছবি - Getty Images and Meta AI)

Next Photo Gallery