
প্রত্যেক দেশবাসীর কাছে ভারতের সেনাবাহিনী (Indian Army) গর্বের বিষয়। ২০১৬ সালে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক (Surgical Strike) করে সেনা বাহিনীর স্পেশাল ফোর্স। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই- র মদতপুষ্ট মোট ৬ টি জঙ্গি লঞ্চ প্যাড সম্পূর্ণ ধ্বংস করে সেনার প্যারা কম্যান্ডোরা। ভারতের সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানগুলির মধ্যে এই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক অন্যতম। সেনা বাহিনীর এই ধরনের অপারেশন এই প্রথম নয়। ভারতীয় সেনার এমন কিছু দুঃসাহসিক অপারেশন রয়েছে যা তাঁদের প্রতি গর্ব বেড়ে যেতে বাধ্য।

১) অপারেশন ব্ল্যাক টর্নেডো (Operation Black Tornado), নভেম্বর ২০০৮: মুম্বই জঙ্গি হামলার সময় নরম্যান হাউসে এনএসজি কম্যান্ডোরা হেলিকপ্টার থেকে নেমে ৯ জন পণবন্দিকে উদ্ধার করেছিল। তাজ হোটেল ও ওবেরয় গ্র্যান্ড থেকে নিরাপত্তা বাহিনী, জঙ্গিদের হাতে আটক প্রায় ৬০০ জনকে উদ্ধার করে। জঙ্গি নিকেশের এই অভিযান 'অপারেশন ব্ল্যাক টর্নেডো' নামে পরিচিত। মুম্বই জঙ্গি হামলার সময়, টেলিভিশনের মাধ্যমে এনএসজি কম্যান্ডোদের এই দুঃসাহসিক অভিযানের সাক্ষী ছিল দেশ। এই অভিযানে এনএসজি কম্যান্ডো সন্দীপ উন্নিকৃষ্ণন শহিদ হন।


৩) অপারেশন ক্যাকটাস (Operation Cactus), নভেম্বর ১৯৮৮: মালদ্বীপের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রপতি গায়ুম ভারতের সাহায্য অনুরোধ করেন। পিপলস্ লিবারেশন অফ তামিল ইলম ও মালদ্বীপের বিদ্রোহীদের প্রতিহত করে ভারতীয় সশস্ত্র সেনা। বায়ু সেনার প্যারাশুট রেজিমেন্টের জওয়ানদের নিয়ে মালে পৌঁছোয় ভারতীয় সেনা। কয়েকঘন্টার মধ্যে মালদ্বীপের রাজধানী নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় ভারতীয় সেনা

৪) অপারেশন পবন (Operation Pawan), অক্টোবর ১৯৮৭:জঙ্গিগোষ্ঠী এলটিটিইর অধীনে থাকা জাফনা পেনিনসুলা পুনরুদ্ধারে বারবার ব্যর্থ হচ্ছিল শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনী। আসরে নামে ভারতীয় সেনা। দুসপ্তাহ ব্যাপী দীর্ঘ লড়াইয়ের পর জাফনা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়। শ্রীলঙ্কার গুরু নগরেও এলটিটিইর সঙ্গে লড়াই হয় ভারতীয় শান্তি রক্ষা বাহিনীর। সেখানেও পর্যদুস্ত হয় এলটিটিই।

৫)অপারেশন মেঘদূত (Operation Meghdoot), এপ্রিল ১৯৮৪: সিয়াচেন হিমবাহ অঞ্চল পৃথিবীর উচ্চতম যুদ্ধক্ষেত্র। সিয়াচেন হিমবাহে ভারত পাকিস্তান উভয়েই পর্বতারোহীদের ছাড়পত্র দেন। কিন্তু পাকিস্তানের তরফে সেখানে সেনা মোতায়েন করা হয়। প্রতিবাদ করে ভারত। বেশ কিছু চেকপোস্ট পাক সেনার কবল থেকে নিজেদের দখলে নেয় ভারতীয় ফৌজ। এই লড়াইয়ে সাহসিকতার ফলে মেজর বানা সিং পরমবীর চক্র উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন।