
স্কুলে পড়বে গ্রীষ্মের ছুটি! আর দেরি করার কোনও মানেই হয় না। ঘুম থেকে উঠে রোজকার সংসারের কুটো নাড়া, অফিসের কাজ, সন্তানের পড়াশোনা সামলাতে সামলাতে হাঁফিয়ে উঠেছেন নিশ্চয়? কটা দিন একটু হাওয়া বদল হলে হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন, তাই তো?

ভারতেই রয়েছে পাঁচখানি দুর্দান্ত জায়গা। ছোট মানুষটাকে নিয়েই সেখানে উদ্বেগহীন আনন্দে ঘুরতে যাওয়া যায়। স্পটগুলির আবহাওয়া সর্বদাই থাকে চমৎকার!

ভীমতাল, উত্তরখণ্ড: নিসর্গ, সহজাত সৌন্দর্য নিয়ে উত্তরখণ্ডে বিরাজ করছে ভীমতাল। এই জায়গার অন্যতম আকর্ষণ হল রংবেরঙের অসংখ্য প্রজাপতি! এ যেন কল্পলোকের প্রজাপতির বিশ্বের বাস্তব দর্শন! ভীমতাল লেকের অদূরেই রয়েছে ‘প্রজাপতি গবেষণা কেন্দ্র’।

গ্যাংটক, সিকিম: সিকিমের ছোট্ট শহর গ্যাংটক আসলে একখানি গুপ্তধনে পূর্ণ নগর যেন! এই খর দিনে গ্যাংটক ভ্রমণের চাইতে আরামদায়ক আর কোনও কাজ হতেই পারে না কোনওদিন। বিশেষ করে বাচ্চাদের গ্যাংটক খুব পছন্দ হবে। বড়রাও উপভোগ করতে পারবেন গ্যাংটকের মনলোভা নিসর্গ।

উটি, তামিলনাড়ু: ছোট্টবেলায় উটি যাওয়ার চাইতে হর্ষদায়ক বোধহয় আর কিছু হতে পারে না! আহা, বৃক্ষরাজির ভিড় গলে, স্থানীয় চকোলেটের স্বাদ নিতে নিতে এঁকেবেঁকে টয়ট্রেনে সফরের চাইতে আর কোনও মজাদার ভ্রমণ হতে পারে কি? আর শুধু ছোটরা কেন, বড়দের কাছেও উটি সফর অত্যন্ত আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা।

শিলং, মেঘালয়: পরিবারের সঙ্গে শান্ত শিলং-এর রাস্তায় হাঁটা নিঃসন্দেহে এক মনোরম অভিজ্ঞতা। ছোট্ট শহর শিলং, অথচ কী প্রাণবন্ত! শিলং পৌঁছে গলফ লিংক, শিলং পিক, এলিফ্যান্ট ফলস দেখা হয়ে গেলে মাওলিননং গ্রামের ‘রুট ব্রিজ’ অবশ্যই দেখে আসবেন।

গোয়া: সৈকত আর মৃদু সমুদ্রের তরঙ্গের খেলা! এই হল গোয়া। তাই বাচ্চাদের কাছেও গোয়া খুব প্রিয়। দীর্ঘ সময় সৈকতে বালি নিয়ে খেলতে খেলতেই ছোটরা সময় কাটিয়ে দিতে পারবে। আরামবল ও পালোলেম সৈকতের অগভীর জল বাচ্চাদের জন্য যথেষ্ট নিরাপদ।