আটার রুটি স্বাস্থ্যের জন্য স্বাস্থ্যকর। হাতে গড়া দুটো রুটি আর সঙ্গে সবজি তরকারি খেলে আপনার দেহে কোনওদিন পুষ্টির ঘাটতি তৈরি হবে না। পাশাপাশি রোগভোগ থেকেও দূরে থাকতে পারবেন।
হাতে গড়া রুটি স্বাস্থ্যের জন্য ভাল হলেও, রুটি তৈরি করে রাখলেই শক্ত হয়ে যায়। তাই অনেকেই গরম-গরম রুটি খাওয়া পছন্দ করেন। কিন্তু শক্ত রুটি দাঁতে ছেঁড়া যায় না।
সবসময় রুটি বানিয়েই খেয়ে নেওয়া যায় না। অনেকে অফিস, স্কুল-কলেজে টিফিনে রুটি নিয়ে যায়। সেক্ষেত্রে আপনাকে জানতে হবে নরম রুটি তৈরির টিপস।
ভাল মানের আটা কিনুন। ভুষিযুক্ত আটা ব্যবহার করুন। এতে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে। এতে রুটি অনেক বেশি নরম হয়। তাছাড়া এটি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
আটা মাখার সময় এক চিমটে নুন দিন। এতে স্বাদ হয় ভাল। পাশাপাশি যৎসামান্য তেল দিন। এরপর ঈষদুষ্ণ গরম জল দিয়ে রুটি মেখে ফেলুন। এতে রুটি নরম হবে।
আটা খুব শক্ত করে মাখবেন না। আবার খুব বেশি পাতলা করবেন না। হাত দিয়ে দেখুন। হালকা নরম থাকলেই চলবে। আটার মাখার পর ১৫ মিনিট ঢাকা দিয়ে রাখুন। এতে রুটি নরম হবে।
এরপর ছোট ছোট লেচি কেটে পাতলা করে রুটি বেলে নিন। বড় লেচিতে রুটি মোটা বেলা হয়। এতে রুটি শক্ত হয়ে যায়। খাওয়া যায় না। রুটি পাতলা করলে তার অনেক বেশি নরম হয়।
চাটুতে রুটিগুলো এপিঠ-ওপিঠ করে হালকা সেঁকে নিন। এবার গ্যাসে সরাসরি আগুনের উপর ধরে সেঁকে নিন। রুটি সেঁকার জালিও ব্যবহার করতে পারেন। এরপর সঙ্গে সঙ্গে রুটিগুলো ক্যাসারলে ভরে রাখুন। ক্যাসারলের মধ্যে একটি সুতির কাপড় দিয়ে রুটিগুলো মুড়ে রাখবেন।