Kidney Health: কিডনিতে সমস্যা? ডায়েট থেকে প্রথমেই কোন কোন খাবার বাদ দেবেন?
Kidney Function: প্যাকটজাত পণ্যগুলি থেকে কঠোরভাবে দূরে থাকা অবশ্য প্রয়োজন। অনেকেই অজান্তে লবণের মাত্রা বাড়িয়ে দেন, তাতে কিডনির মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
কিডনিতে সমস্যা থাকলে ফল, জুস, শুকনো ফল ও ফসফরাস সমৃদ্ধ ফল এড়িয়ে যাওয়া উচিত। কিডনির রোগে আক্রান্তকে লবণের পরিমাণের উপর বিশেষভাবে নজর দেওয়া উচিত।
প্যাকটজাত পণ্যগুলি থেকে কঠোরভাবে দূরে থাকা অবশ্য প্রয়োজন। অনেকেই অজান্তে লবণের মাত্রা বাড়িয়ে দেন, তাতে কিডনির মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের কারণেও কিডনির উপর মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এই অবস্থাগুলি সঠিক উপায়ে নিরাময় করতে ও সুস্থ রাখতে রোজকার ডায়েট থেকে বেশ কিছু খাবার বাদ দেওয়া উচিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিডনির স্বাভাবিক কার্যকারিতা উন্নত করতে প্রায় ৬টি ঘরোয়া উপায় মানলেই চলে।
রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থকে ফিল্টার করার পর প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে নির্গত করার গুরু দায়িত্ব রয়েছে কিডনির উপরই। ইলেক্টোলাইট ও অন্যান্য তরল ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ সৃষ্টি হয়। সবুজ শাক-সবজি, মিষ্টি আলু, বেরিজ, আপেল, চর্বিযুক্ত মাছ সবই কিডনিবান্ধব বলে বিবেচিত হয়। আবার বাদাম, দুগ্ধজাত পণ্য, প্যাকেটজাত পণ্য ও চিনিযুক্ত খাবার কিডনির জন্য ক্ষতিকর। তাই কিডনির রোগে যাঁরা ভুগছেন, তাঁরা এধরনের খাবার এড়িয়ে চলুন।
সাধারণত কিডনির রোগীদের খুব সাবধানে খাবার বাছাই করতে হয়। রোগীর রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি পর্যায়ে থাকে, তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা, কম নুন দেওয়া খাবার, চিনি ও কৃত্রিম খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন। এছাড়া কার্বোহাইড্রেট সমৃ্দ্ধ খাবার এড়িয়ে চলুন। সবসময় ফলের রসের মতো প্রাকৃতিক মিষ্টি বা চিনি পান করুন।
সোডিয়াম বেশি থাকে এমন খাবার খাওয়া হার্ট ও কিডনির স্বাস্থ্যকে প্রভাবিক করে। যাঁদের জন্য নুন খাওয়া নিষিদ্ধ, তাতে রোগীর রক্তচাপ বেড়ে যায়। কিডনি-সহ সারা শরীরের রক্তনালীকে সংকুচিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তাজা খাবার , ফ্রিজিং কাবার, টিনজাত ও প্যাকেটজাত খাবার সীমিত রাখা, রান্না করা খাবারে নুনে মাত্রা বেশি না দেওয়া-এগুলি নজরে রাখা উচিত।
উচ্চ পটাসিয়াম-জাত খাবার যেমন কিছু ফলের রস, শুকনো ফল ও বাদাম ও ফসফরাসযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। কিডনি রোগের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে প্রোটিনের মাত্রাও সীমিত রাখা উচিত।
রক্তচাপ, রক্তে শর্করা, পটাসিয়াম, জল খেলে কিডনির সমস্যা অনেকটাই মেরামত করা যায়। কিডনির স্বাস্থ্য থাকে সুস্থ ও স্বাভাবিক।