
আজকাল পরিশ্রম সব মানুষেরই হয়। বলা ভাল পরিশ্রম এখনের দিনে অনেক বেশি। তার উপর সারা দিনের ধকল সামলে রাতে ঘুম যদি না আসে তাহলে সমস্যা বাড়ে বৈকি! ঘুম ঠিকমতো না হলে সারাদিন ক্লান্তি লেগে থাকে। এমনকী কোনও কাজে ঠিকমতো মনও বসে না

এক-আধটা দিন এমন হলে চলতে পারে। কিন্তু দিনের পর দিন যদি এটাই রুটিন হয়ে যায় তাহলেই কিন্তু চিত্তির! এমন রোগের পিছনে থাকতে পারে মানসিক চাপ বা স্ট্রেস। সাধারণ কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলি ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। এমন কিছু খাদ্য আছে যা ঘুম নষ্ট করতে পারে। দেখে নিন সেগুলি কী কী..

সারা দিনের ক্লান্তি কাটাতে কফির কাপই একমাত্র ভরসা। আবার এই কফিই বাড়িয়ে দিতে পারে উদ্বেগ। দিনে ৪০০ মিলিগ্রাম ক্যাফিন না খাওয়াই ভালো। অফিসে কাজের ফাঁকে অনেকবারই চুমুক দিতে হয় কফি কাপে

অনিদ্রার সমস্যায় অন্যতম কারণ ভাজাভুজি। রাতের খাবারে বেশি তেল-মশলা এবং ভাজাভুজি খাবার এড়িয়ে চলুন। রাতের খাবার হোক একদম হালকা। চেষ্টা করবেন একবাটি সবজি সেদ্ধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ার

শুনে অবাক হতে পারেন যে এক গ্লাস স্মুদি খেয়ে ঘুমাতে গেলে আর কী-ই বা সমস্যা হতে পারে! আজ্ঞে হ্যাঁ, স্মুদিতে অনেকটা পরিমাণ চিনি থাকে। যা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। আর তাতেই ঘুম আসতে সমস্যা হয়

অনিদ্রার সমস্যা যাঁদের দীর্ঘ দিনের, রাতে তাঁদের মিষ্টিজাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরাও। রাতে খাওয়ার পর মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে হয়। কেউ খান কোল্ডড্রিংক, কেউ আইসক্রিম। কেউ আবার বাধ্য হয়ে অনলাইনে মিষ্টি অর্ডার করে খান

শুধু চা কিংবা কফি নয়, ডার্ক চকোলেটের মধ্যেও ক্যাফিন থাকে। আর এই ক্যাফিনের প্রভাব থাকতে পারে রাতভর। তাই ভুলেও ডার্ক চকোলেট নয়। এমনকী চকোলেট ড্রিংক, হট চকোলেট এসবও খাবেন না

শোওয়ার সময় অস্বস্তি হলে কিছুতেই ঘুম আসবে না। অ্যাসিড-যুক্ত খাবার খেলে অনেকেরই গলা বুক জ্বালা করে। বার বার প্রস্রাবের বেগ আসতে পারে। তাই যে সব খাবার থেকে অ্যাসিড হয় বা অ্যাসিডিটির সম্ভাবনা থাকে এমন খাবার কখনই নয়