Rid of Constipation: সকালে পেট পরিষ্কার হয় না কিছুতেই! এই উপায়গুলি দেবে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে চিরতরে মুক্তি!
Stomach Not Clear: কনস্টিপেশন শব্দ ছোট। কিন্তু একটা বড় জীবন বরবাদ করে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট! যার হয় সেই জানে কোষ্ঠকাঠিন্যের যন্ত্রণা! অথচ জানলে অবাক হবেন, সহজ এবং ঘরোয়া কতকগুলি উপায়েই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি লাভ সম্ভব!
কনস্টিপেশন শব্দ ছোট। কিন্তু একটা বড় জীবন বরবাদ করে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট! যার হয় সেই জানে কোষ্ঠকাঠিন্যের যন্ত্রণা! অথচ জানলে অবাক হবেন, সহজ এবং ঘরোয়া কতকগুলি উপায়েই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি লাভ সম্ভব!
বহু মানুষ থাকেন যাঁদের সকালে কিছুতেই পেট পরিষ্কার হয় না। কখনও কখনও কোমোডে বসার পর মনে হয় পায়ের সঙ্গে কেউ পরিয়ে দিয়েছে শিকল! যেন আর কোনওদিন টয়লেট থেকে বেরনো সম্ভব হবে না!
কোষ্ঠকাঠিন্য সার্বিকভাবে একজন ব্যক্তির জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে। লোকে বাইরে বেড়াতে যেতে ভয় পান। খাবার খেতে ভয় পান। এমনকী খুব কষ্টের সময়ে চেয়ারেও দীর্ঘসময় বসে থাকা যায় না। কোমোডে বসলে মনে হয় কেউ যেন কোমোডে কাঁটাতার ফেলে রেখেছে। কোষ্ঠকাঠিনের্যর কারণে আত্মীয়স্বজনের কাছে উপহাসের পাত্র হতে হয়।
কেউ কেউ চাপ দিয়েও প্রতিদিন পায়খানা করার চেষ্টা করেন। এইভাবে দিনের পর দিন ধরে পেট পরিষ্কার না হলে যেমন একদিকে যেমন পাইলস, ফিসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তেমনই ত্বকেরও বহু সমস্যা দেখা দেয়। অথচ জানলে অবাক হবেন, আমাদের হাতের কাছেই এমন সব উপাদান রয়েছে যা নিয়মিত সেবন করলেই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব! দেখা যাক সেগুলি কী কী—
লেবু জল: লেবুর রসে থাকে ভিটামিন সি যা নিজেই একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই আমাদের শরীর থেকে ক্ষতিককর পদার্থগুলিকে বাইরে বের করতে সাহায্য করে লেবুর রস। তাই প্রতিদিন সকালে একগ্লাস ঈষদুষ্ণ জলে লেবুর রসের সঙ্গে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। পেট পরিষ্কার হবে।
দুধ এবং দই: দই আমাদের রেকটামের পথ পিচ্ছিল রাখে। ফলে শক্ত মলজনিত যে কোনও ক্ষত তৈরি হওয়া প্রতিরোধ হয়। এছাড়া দইয়ে থাকে ভালো ব্যাকটেরিয়া। ফলে নিয়মিত দুপুরে খাবার খাওয়ার ১ ঘণ্টা পরে একবাটি দই খান। খাবার ভালো হজন হলে কোষ্ঠও সাফ থাকবে।
আমলকীর রস: আমলা বা আমলকীর রসও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূরে রাখে। সকালে খালি পেটে দুই থেকে তিন চামচ আমলার রস পান করুন।
ত্রিফলা : আমলকী, হরিতকী ও বহেড়া মিলে হয় ত্রিফলা। প্রতিদিন ঘুমানোর আগে অর্ধেক চা চামচ ত্রিফলার গুঁড়ো এককাপ ঈষদুষ্ণ জলে গুলে পান করুন। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরেই বেগ চাপবে। পেট হবে পরিষ্কার।
কালো কিশমিশ : কালো কিশমিশে রয়েছে প্রচুর ফাইবার। ফলে সহজেই তা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। তাই প্রতিদিন রাতে এককাপ জলে গোটা কয়েকটা কিশমিশ ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ওই কিশমিশ জলের সঙ্গে চটকে খেয়ে নিন। কদিন এমন করার পরেই তফাত বুঝবেন। চাইলে রাতেও কিশমিশ খেয়ে শুতে পারেন।
মেথি বীজ : কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় মেথির বীজ ম্যাজিকের মতো কাজ করে। এক চামচ মেথি নিন। সারারাত একগ্লাস জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে জল ছেঁকে পান করুন। মেথি ভেজানো জল পেট ঠান্ডা রাখে। হজম ক্ষমতা বাড়ায়। গ্যাস অম্বলের সমস্যা দূরে রাখে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যও হয় না।
কোষ্ঠকাঠিন্য মূলত হয় খাদ্যে ফাইবারের অনুপস্থিতির কারণে। তাই প্রতিদিন ডায়েটে শাকসব্জি রাখতেই হবে। কোনওদিন শাকসব্জি না খেতে পারলেও একটা শসা অবশ্যই খাবেন। কারণ শসায় প্রচুর ফাইবার থাকে যা মলের পরিমাণ বাড়ায়।
এছাড়া ব্যায়াম করতে হবে। এক্সারসাইজ করলে আমাদের অন্ত্রের সংকোচন ও প্রসারণ ভালো হয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূরে থাকে।