TV9 Bangla Digital | Edited By: সৈকত দাস
Aug 01, 2021 | 10:03 PM
ভয়ঙ্কর বন্যাতেও আটকাল না বিয়ে। জল থইথই রাস্তার মধ্যে দিয়ে নৌকা ছুটিয়ে বিয়েটা তাড়াতাড়ি সেরে ফেললেন খানাকুলের হীরাপুর গ্রামের খন্দকার আমিরুল হক।
বিয়ের প্রস্তুতি সেরে ফেলেছিলেন। কিন্তু আচমকা বন্যায় সব ভেসে গিয়েছে। ওদিকে পাত্রীর ঘরে প্রস্তুতি সারা। তাহলে উপায়? না, বেশি ভাবাভাবির সময় পাননি আমিরুল। শেরওয়ানি চাপিয়ে নৌকায় উঠে বসলেন। প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার জল ডিঙিয়ে রাজাহাটিতে শ্বশুরবাড়ির দরজায় নৌকা ভেড়ালেন তিনি। খুশিতে আত্মহারা পাত্রীপক্ষ।
প্রায় পনেরো ফুট জলের ওপর জল বইছে। ভেসে গিয়েছে বাড়ির পর পর বাড়ি। আবার শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার ঘুরপথ রাস্তার প্রায় চার কিমি দূরে প্রত্যন্ত ও ভয়ংকর বন্যা কবলিত এলাকা শাবলসিংহপুর। সেখানে পাত্রকে যেতে হবে বিয়ে করতে! এই বন্যায় শাবলসিংহপুরের অবস্থা আরোও ভয়ংকর।
সেখানে এক তলা বাড়ির কোন চিহ্নই নেই। বাড়ির দেড় তলা পর্যন্ত ডুবেছে। তা সত্বেও কথা রাখতে খন্দকার আমিরুল হক বিয়ে টা সেরে নিলেন। মেয়ের পরিবারের লোকজন যাতে কোন অসুবিধার মধ্যে না পড়েন তাই জন্যই এই সিদ্ধান্ত তাঁর।
বিয়ের সব কিছুই আয়োজন সারা হয়ে গিয়েছিল। এই বন্যার জন্য বিয়ের অনুষ্ঠান বাতিল করে দিলে ভীষণ সমস্যার মধ্যে পড়ে যাবেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তাই কোনওরকম জাঁকজমক না করে বিয়েটা সেরে নিতে জীবন বাজি রেখে বর চড়ে বসেন নৌকায়। বন্যার জলকে তোয়াক্কা না করেই তিনি হাজির হয়ে যান বিয়ের মণ্ডপে। তারপর কনেকে নিয়ে আবার নৌকায় করে ফিরে আসেন বাড়ি। বরের দাবি, এখন বন্যা, তার পর পরে যদি আবার করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়, তাহলে আরও বিপদ। তখন তো আরও প্রশাসনিক বিধিনিষেধের গেরো চেপে বসবে। তাই বিয়েটা সেরে ফেলতে একটু রিস্ক নিতেই হল। বরের কীর্তিতে দারুণ খুশি নববধূ।