Happy Birthday Munaf Patel: টাইলস ফ্যাক্টরিতে ৩৫ টাকার কাজ থেকে বিশ্বকাপজয়ী দলে… ভারতের এই ক্রিকেটারের আজ জন্মদিন
TV9 Bangla Digital | Edited By: সঙ্ঘমিত্রা চক্রবর্ত্তী
Jul 12, 2022 | 9:45 AM
আজ ভারতের প্রাক্তন তারকা পেসার মুনাফ প্যাটেলের (Munaf Patel) ৩৯তম জন্মদিন। ২০১১ সালের বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের সদস্য ছিলেন মুনাফ প্যাটেল। দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা মুনাফের। গুজরাতের ইকহারে তাঁর জন্ম। মুনাফের বাবা ছিলেন পরিবারের একমাত্র রোজগেরে। তাঁর বাবা দিনমজুরের কাজ করতেন। দৈনিক ৩৫ টাকার একটা সময় মুনাফও এক টাইলস ফ্যাক্টরিতে কাজ করেছেন। ভাগ্যের কী পরিহাস! সেখান থেকে ভারতের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্যও হয়েছিলেন তিনি।
1 / 8
আজ ভারতের প্রাক্তন তারকা পেসার মুনাফ প্যাটেলের (Munaf Patel) ৩৯তম জন্মদিন। ২০১১ সালের বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের সদস্য ছিলেন মুনাফ প্যাটেল। দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা মুনাফের। গুজরাতের ইকহারে তাঁর জন্ম। মুনাফের বাবা ছিলেন পরিবারের একমাত্র রোজগেরে। তাঁর বাবা দিনমজুরের কাজ করতেন। দৈনিক ৩৫ টাকার একটা সময় মুনাফও এক টাইলস ফ্যাক্টরিতে কাজ করেছেন। ভাগ্যের কী পরিহাস! সেখান থেকে ভারতের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্যও হয়েছিলেন তিনি।
2 / 8
২০১১ সালের বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের অন্যতম সফল ক্রিকেটার হলেন মুনাফ প্যাটেল। কিন্তু তিনি যেন ছিলেন সকলের অগোচরে। ২০১১ সালে, প্রবীণ কুমার যখন চোটের কারণে দলের বাইরে ছিলেন, তখন তিনি বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেয়েছিলেন। বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে সর্বাধিক উইকেট নেওয়া বোলারদের তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছেন তিনি। তাঁর চেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছিলেনন জাহির খান ও যুবরাজ সিং। মুনাফ ২০১১ সালের বিশ্বকাপে নিয়েছিলেন ১১ উইকেট নেন। সেই মুনাফ প্যাটেলের আজ ৩৯তম জন্মদিন।
3 / 8
গুজরাতের ইকাহারে মুনাফ প্যাটেলের জন্ম। তাঁর বাবা ছিলেন দিনমজুর। সামান্য কটা টাকার জন্য মুনাফ নিজেও একটা সময় টাইলস ফ্যক্টরিতে কাজে যোগ দেন। সেখানে তিনি আট ঘণ্টা কাজ করে দৈনিক পেতেন ৩৫ টাকা। মুনাফের বাবা পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন বলে, স্বাভাবিকভাবেই তিনি আশা করতেন, ছেলে তাঁকে সাহায্য করবে। তবে মুনাফ পাশে পেয়েছিলেন তাঁর মাকে।
4 / 8
ক্রিকেট যে কারও পেশা হতে পারে, সেকথা গুজরাতের ওই ছোট্ট গ্রাম ইকাহারের মানুষদের মাথায় ঢোকেনি। সেই ভাবে তাই মুনাফের বাবাও শুরুর দিকে বোঝেননি ছেলে ক্রিকেট খেললে তাদের পরিবারের কী লাভ হবে?
5 / 8
মুনাফের মধ্যে যে অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও মনের জোর ছিল, সেটাই তাঁর ক্রিকেটে আসার পিছনে মূল কারণ। পাশাপাশি সময়মতো ভাগ্যদেবীর প্রসন্ন হওয়ার ব্যাপারটাও রয়েছে। ইকাহারের এক ব্যক্তি ছিলেন ইউসুফ নামের। যাকে মুনাফ ইউসুফ ভাই বলে ডাকতেন। সেই ইউসুফ মুনাফকে প্রথমে ৪০০ টাকার এক জোড়া জুতো কিনে দেন। এবং তিনিই এক ক্রিকেট ক্লাবে মুনাফের ভর্তি হওয়ার সুযোগ করে দেন।
6 / 8
২০ বছরের মুনাফকে ভারতের প্রাক্তন উইকেটকিপার কিরণ মোরে নেট বোলিংয়ে দেখেন তাঁর কোচিং অ্যাকাডেমিতে। তাঁর পেস বোলিংয়ে দক্ষতা দেখে তিনি মুনাফকে পাঠান চেন্নাইতে, এমআরএফ পেস ফাউন্ডেশনে। সেখানে ড্যানিশ লিলি ও স্টিভ ওয়ার কাছে প্রশিক্ষণ নেন মুনাফ।
7 / 8
খুব তাড়াতাড়ি ভারতের দ্রুততম বোলারে পরিণত হয়ে যান মুনাফ। এরপর মুনাফকে বরোদা ও গুজরাত দল নিতে চায় রঞ্জির জন্য। কিন্তু প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মুম্বইয়ের হয়ে খেলানোর জন্য মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আলোচনা করেন সচিন তেন্ডুলকর। তারা রাজি হলে সেখানেই তিনি খেলেন।
8 / 8
এরপর ২০০৬ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মোহালিতে টেস্ট অভিষেক হয় মুনাফের। ভারতের হয়ে তিন ফর্ম্যাট মিলিয়ে ৮৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেব মুনাফ প্যাটেল। অবসরের ঘোষণা দেন। ভারতের হয়ে তিনি ৭০টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন। তাতে সংগ্রহ ৮৬টি উইকেট। টেস্টে খেলেছেন ১৩টি ম্যাচে। সেখানে পেয়েছিলেন ৩৫টি উইকেটয আর টিম ইন্ডিয়ার হয়ে মাত্র ৩টি টি-২০ ম্যাচে খেলেছেন তিনি। সেখানে প্রাপ্তি ৪টি উইকেট।