
সাধারণত তিনটি তিজ রয়েছে, তারমধ্যে একটি তিজে মহিলারা শ্রাবণ ও ভাদ্র মাসে উপবাস রেখে ব্রত পালন করেন। বিবাহিতা ও অবিবাহিতা উভয় নারীই সুন্দর পোশাক পরে, লোকসঙ্গীত গেয়ে, উপবাস পালন করে পুজো করে থাকেন।

এই পুজো পালনে বিশেষত হল, যে সব মহিলারা এই ব্রত পালনের জন্য উপবাস রাখেন, তাঁরা সকলেই মেহেন্দি লাগিয়ে উত্সবে সামিল হোন। এছাড়া এই উত্সবে সবুজ রঙের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরার রীতি রয়েছে।

১৬টি অলঙ্কার (ষোলা সিঙ্গার) পরা, গান গাওয়া, নাচ ও আনন্দ উপভোগ করেন মহিলারা। স্বামীর সৌভাগ্য পেতে ও গৃহে সুখ-সমৃদ্ধি বিরাজের জন্য মহিলারা চুড়ি, টিপ (বিন্দি), কানের দুল আর অলঙ্কার পরে ও হাতে-পায়ে মেহেন্দি লাগিয়ে প্রস্তুত হোন।

গ্লিটার মেহেন্দি- অন্যদের থেকে আলাদা ও স্টাইলিশ কিছু করার জন্য গ্লিটার মেহেন্দি সেরা। এই মেহেন্দির ডিজািন বেশ আকর্ষনীয়ও বটে। হেনার ডিজাইনের মাঝে রঙবেরঙের গ্লিটার ব্যবহার করা হয়।

শেডেড মেহেন্দি- বহু মহিলা গোটা হাত জুড়ে মেহেন্দি লাগাতে পছন্দ করেন। আবার কেউ কেউ তালু-কবজি পর্যন্ত নকশা করতে পছন্দ করেন। হরিয়ালি তিজের জন্য শেডেড মেহেন্দি ডিজাইন ট্রাই করতে পারেন।

ফুলের মেহেন্দি ডিজাইন- যদি চটজলদি মেহেন্দি পরতে চান. তাহলে এই ধরনের ফ্লোরাল মেহেন্দিকে বিকল্প হিসেবে বেছে নিতে পারেন। ফ্লোরাল মেহেন্দি দেখতে খুব সুন্দর ও খুব বেশি সময়ও লাগে না।

তির্যক মেহেন্দি- হাতের তালুর এক প্রান্ত থেকে শুরু করে অন্য প্রান্তে মেহেন্দির ডিজাইনকে ডায়াগোনাল মেহেন্দি বা তির্যক মেহেন্দি বলা হয়।এই মেহেন্দি পুরো হাত জুড়ে নকশা করা হয় না। এইভাবে সুন্দর সুন্দর ডিজাইন প্রয়োগ করা যায়।