
ওজন কমাতে কিংবা ফিটনেস বজায় রাখতে এখন বেশিরভাগ মানুষ ব্ল্যাক টি কিংবা গ্রিন টি'কেই বেশি প্রাধান্য দেন। কিন্তু হোয়াইট টি পানের কথা কোনওদিন ভেবে দেখেছেন? কালো চা বা গ্রিন টি’র মতোই হোয়াইট টি খেলেও আপনি পাবেন একাধিক সুবিধা।

চিনের ফুজিয়ান প্রদেশে প্রথম হোয়াইট টি চাষ করা হয়। তবে এখন ভারত এবং নেপালের বহু অংশে এই হোয়াইট টি'র চাষ করা হয়। হোয়াইট টি'র স্বাদ একটু কষাটে। কিন্তু গুণের দিক দিয়ে বিচার করলে এই চা কালো চা বা গ্রিন টি'কেও পিছনে ফেলে দিতে পারে।

ওজন কমাতে সাহায্য করে এই হোয়াইট টি। হোয়াইট টি পান করলে এটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে শরীরের মেটাবলিজম বাড়িয়ে তোলে। এতেই ওজন কমে। আর মাত্র দিনে এক কাপ খেলেই এই উপকার পাওয়া যায়।

ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য ভীষণ উপকারী এই হোয়াইট টি। হোয়াইট টি রক্তে শর্করার মাত্রাকে বাড়তে দেয় না। ফলে ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণেই থাকে। ইনসুলিন হরমোনের উপরও এই চা প্রভাব ফেলে। তবে অবশ্যই আপনাকে এই চা চিনি ছাড়া পান করতে হবে।

যাঁরা হরমোনের তারতম্যের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের কাছে মোক্ষম দাওয়াই এই হোয়াইট টি। এই চা হরমোনের ভারসাম্যকে বজায় রাখতে সাহায্য করে। এই কারণে এই থাইরয়েড রোগীদের জন্যও উপকারী। পাশাপাশি এই চা ক্যানসারের কোষকে বৃদ্ধি হতে দেয় না।

নিখুঁত ত্বক ও ঘন লম্বা চুলের অধিকারী হতে চান? নিয়ম করে হোয়াইট টি'তে চুমুক দিন। এই চা ত্বকের বার্ধক্য প্রতিরোধ করে। ত্বককে আরও উজ্জ্বল করে তোলে। পাশাপাশি এটি খুশকির সমস্যা প্রতিরোধ করে এবং চুলকে মজবুত করে তোলে।