আজকাল সন্ধের পর থেকেই শীতের আমেজ টের পাচ্ছে বাঙালি। রাতে গায়ে পাতলা চাদর দিতে হচ্ছে। তার সঙ্গে বডি লোশনও মাখতে হচ্ছে। তবে, শীতকাল আসতে এখনও সময় রয়েছে। কিন্তু এখন থেকে ত্বকের দেখভাল না করলেই মুশকিল।
শীতকাল এলেই ত্বকের হাজারো সমস্যা জাঁকিয়ে বসে। শুষ্ক ত্বকের পাশাপাশি চুলকানি, র্যাশ, ফাটা ঠোঁটের সমস্যা জাঁকিয়ে বসে। এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এখনই সতর্ক হওয়া দরকার।
ঠান্ডা আবহাওয়ায় ত্বক শুকিয়ে যায়। শীতকালে কমবেশি সকলেই শুষ্ক ত্বকের সমস্যায় ভোগেন। এই অবস্থায় ক্লিনজিং, টোনিং ও ময়েশ্চারাইজিং—এই তিন ধাপ মেনে চলাই যথেষ্ট নয়। তাই এই মরশুমে কীভাবে ত্বকের যত্ন নেবেন, জানা দরকার।
শুষ্ক ত্বকের সমস্যা ব্রণ, বলিরেখা, চুলকানি, র্যাশের সমস্যা ডেকে আনে। তাই আপনাকে হাইড্রেটিং ময়েশ্চারাইজিং ব্যবহার করতেই হবে। এটি শুষ্ক ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে। পাশাপাশি র্যাশের ঝুঁকি কমবে।
শুষ্ক ত্বকের সমস্যা র্যাশের সমস্যায় ভুগলে হলুদের সাহায্য নিতে পারেন। হলুদের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শুষ্ক ত্বককে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। মধুর সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে সপ্তাহে একদিন মুখে লাগাতে পারেন।
শীতকালে রোদের তেজ কম থাকে। কিন্তু সানস্ক্রিন না মাখলে ত্বকের ক্ষয় হয়। তাই শীতকালেও সানস্ক্রিন ছাড়া বাইরে বেরোবেন না। সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ত্বকের বার্ধক্যকেও প্রতিরোধ করা সম্ভব।
শীতকালে ত্বকের জৌলুস হারিয়ে যায়। কোল্ড ক্রিম ব্যবহারের কারণে ত্বক নিষ্প্রাণ দেখায়। পাশাপাশি ত্বকের উপরিতলে মৃত কোষ জমতে থাকে। এই অবস্থায় ওটসের সঙ্গে দুধ মিশিয়ে স্ক্রাব করুন। এটি ত্বক থেকে মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করবে।
শুষ্ক আবহাওয়ায় ঠোঁট ফাটার সমস্যা খুব সাধারণ। তাই এখন রোজ লিপ বাম ব্যবহার করুন। লিপ বাম ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় রাখবে। পাশাপাশি শীতকাল এলে ঠোঁট ফাটার সমস্যা বাড়বে না। এছাড়া আপনি রাতে ঠোঁটে ঘি লাগিয়ে ঘুমোতে পারেন।