
হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, অক্ষয় তৃতীয়া বৈশাখ মাসে পালিত হয় এবং বছরের চারটি সবচেয়ে শুভ দিনের মধ্যে একটি অন্যতম দিন হিসেবে মনে করা হয়। অশোক, মৌর্য এবং গুপ্তদের সঙ্গে ভারতের সোনার একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।

এই দিন কুবেরের তপস্যায় তুষ্ট হয়ে মহাদিদেব তাঁকে অতুল সম্পদ প্রদান করেছিলেন। কুবেরের লক্ষ্মীলাভ হওয়ায় বৈভব ও লক্ষ্মীর পুজো করা হয়ে অক্ষয় তৃতীয়া তিথিতে। হিন্দু মতে, অক্ষয় তৃতীয়ার দিন ভগবান পরশুরাম জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

এদিন ভগবান গণেশ, বিষ্ণু ও গৃহদেবতাকে ভোগ প্রগান করা হয়। ভারতীয় উত্সবে মিষ্টি হল একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যেখানে সুস্বাদু মিষ্টি ছাড়া উত্সব বা পুজো কোনওটাই সম্পূর্ণ হয় না। অক্ষয় তৃতীয়া উপলক্ষ্যে দুধ থেকে তৈরি কোন মিষ্টিগুলি দেবতাকে অর্ঘ্য করবেন, জানুন...

রাবড়ি: অক্ষয় তৃতীয়া উপলক্ষে জনপ্রিয় ডেসার্ট হল রাবড়ি। খুব সহজে, কোনও রকম ঝামেলা ছাড়াই ডিনারের জন্য বানিয়ে ফেলতে পারেন। দুধ, চিনি, ড্রাই ফ্রুটস ও এলাচের গুঁড়ো দিয়ে বানানো হয়।

রসমালাই: বাঙালির অত্যন্ত প্রিয় একটি মিষ্টি। দুধ ভরা, সুস্বাদু মিষ্টির মধ্যে অন্যতম। কেশর ও চিনি দিয়ে তৈরি ঘন দুধের মধ্যে থেকে যখন রসে ভরা রসগোল্লাগুলো উঁকি দেয়, লোভ সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে তখন।

আমরস: আম ছড়া গ্রীষ্মের কোনও উত্সব সম্পূর্ণ হয় না। বিশেষ করে মহারাষ্ট্রে আমরস অত্যন্ত জনপ্রিয়। অক্ষয় তৃতীয়া উপলক্ষ্যে আমরস যেমন সুস্বাদু একটি ডেজার্ট , তেমন স্বাস্থ্য়করও বটে। আমরস আসলে মহারাষ্ট্রের নৈবেদ্যের থালির অন্যতম উপকরণ।

পাল পায়সাম: দক্ষিণ ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় ক্ষীর। পায়েসও বলা চলে। চাল, দুধ ও ড্রাই ফ্রুটস ও ঘি দিয়ে তৈরি ঘন ও ক্রিমি পায়েস পুজোর ভোগের জন্য় দেওয়া হয়। মুগ ডালের পায়েসম, আারস পায়েসম, নারকেলের পায়সম ও আরও অনেক স্বাদের বিভিন্ন পায়সম তৈরি করা হয়।

ম্যাঙ্গো ক্ষীর: আম কি ক্ষীর! এই জিভে জল আনা ডেসার্টটি ভারতের সবচেয়ে সাধারণ কিন্তু অসাধারণ স্বাদের মিষ্টি। আমের স্বাদে ক্ষীরের এই রেসিপিটি যে কোনও উত্সবের মুডকে দ্বিগুণ করে দেয়।