TV9 Bangla Digital | Edited By: megha
Mar 02, 2023 | 11:28 AM
ঘন ঘন অ্যাসিডিটি, অম্বলের সমস্যায় ভুগছেন? কিশমিশ ভেজানো জল পান করুন। এতে ভাল পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম রয়েছে। এটি হজম ক্ষমতা উন্নত করে এবং অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয়। পাশাপাশি এটি পেটের অ্যাসিডিক স্তরের ভারসাম্য রক্ষা করে।
কিশমিশের মধ্যে ভিটামিন সি রয়েছে। এটি আমাদের শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। বিশেষত, চোখ সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা থেকে রেহাই দিতে সাহায্য করে ভেজানো কিশমিশ।
মানসিক চাপ উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়াচ্ছে? কিশমিশ ভেজানো জলে উপকার পেতে পারেন। এটি শরীরে পটাশিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এমনকী কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে কিশমিশ।
শুকনো কাশির সমস্যায় কষ্ট পাচ্ছেন? গলার সংক্রমণ থেকে রেহাই দিতে সহায়ক কিশমিশ ভেজানো জল। আয়ুর্বেদ মতে, কিশমিশের মধ্যে প্রাকৃতিক তেল রয়েছে যা খুসখুসে কাশির সমস্যা থেকে রেহাই দিতে সাহায্য করে।
ওজনকে বশে রাখার জন্যও কিশমিশ দারুণ সহায়ক। প্রতিদিন যদি সঠিক পরিমাণে ভেজানো কিশমিশ খেতে পারেন, তাহলে ওজন নিয়ে খুব বেশি মাথাব্যথা থাকবে না। কারণ এই খাবারের মধ্যে বেশ ভাল পরিমাণে ফাইবার রয়েছে।
কিশমিশের মধ্যে অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে মাড়ি ও দাঁতের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। মাড়িকে যে কোনও ধরনের সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে কিশমিশ। শুধু প্রতিদিন ৫-৬টা ভেজানো কিশমিশ খেতে পারেন।
কিশমিশের মধ্যে বেশ উচ্চ পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। ভেজানো কিশমিশ খেলে এটি ত্বকের ক্যানসার থেকে আপনাকে রক্ষা করবে। পাশাপাশি ত্বকের জেল্লা বাড়বে, ত্বককে ক্ষয় হাত থেকে রক্ষা করবে এবং বলিরেখা প্রতিরোধ করবে।
ক্লান্তি, দুর্বলতা, মাথা ঝিমঝিম করা, সারাদিন ধরে ঘুম পাওয়া—এই ধরনের শারীরিক দুর্বলতা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে কিশমিশ। মাথাব্যথা থেকেও মুক্তি দেয় ভেজানো কিশমিশ। খালি পেটে কিশমিশ ভেজানো জলও পান করতে পারেন।