Dark Chocolate for Diabetes: সুগারের জন্য মিষ্টি খাওয়া বন্ধ? এক টুকরো ডার্ক চকোলেট খেলে মিটবে ডেজার্টের ক্রেভিং
Blood Sugar: সাধের রসগোল্লার মায়া ত্যাগ করা গেলেও অনেকেই ডার্ক চকোলেটের প্রতি ভালবাসা ছাড়তে পারে না। ডায়াবেটিস থাকলেও ডার্ক চকোলেট খেতে পারেন।
সুগার থাকলে মিষ্টি খাওয়া চলে না। টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের কাছে চিনিযুক্ত খাবার হল বিষের মতো। কিন্তু মিষ্টির প্রতি লোভ সহজে ছাড়া যায় না। তাহলে উপায় কী?
সুগার-ফ্রি খাবার খাওয়া যায়। কিন্তু এতে স্বাদ আসে না। আবার অনেকের প্রশ্ন চকোলেট যুক্ত খাবার ডায়াবেটিসের রোগীদের খাওয়া যায় কি না। সাধের রসগোল্লার মায়া ত্যাগ করা গেলেও অনেকেই ডার্ক চকোলেটের প্রতি ভালবাসা ছাড়তে পারে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনার ডার্ক চকোলেট খাওয়া বন্ধ করাও উচিত নয়। বরং, রক্তে শর্করার মাত্রাকে ঠিক রাখতে আপনি সীমিত পরিমাণে ডার্ক চকোলেট খেতে পারেন। কারণ, ডার্ক চকোলেটের মধ্যে স্বাস্থ্য গুণ অনেক।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ডার্ক চকোলেটের মধ্যে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, তা শরীরকে বিভিন্ন উপায়ে উপকৃত করে। এটি ইনসুলিন হরমোনের ভারসাম্যকে বজায় রাখে। ফলে, চট করে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে না।
জার্নাল অফ নিউট্রিশনাল বায়োকেমিস্ট্রিতে ২০১৭ সালের নভেম্বরে প্রকাশিত এক গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, ডার্ক চকোলেটের মধ্যে ফ্ল্যাভেনল নামের একটি যৌগ রয়েছে। এই যৌগটি ইনসুলিন হরমোনের নিঃসরণকে নিয়ন্ত্রণ করে। এতে রক্তে শর্করার মাত্রার উপর খুব বেশি প্রভাব পড়ে না।
বরং, ডার্ক চকোলেট খেলে আপনার চিনিযুক্ত খাবার, নোনতা বা ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমবে। ডায়াবেটিসে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া চলে না। ডিনার শেষে এক টুকরো ডার্ক চকোলেট খেয়ে নিন। দেখবেন মিষ্টি খাওয়ার সাধ পূরণ হয়ে গিয়েছে এবং স্বাস্থ্য নিয়েও আর চিন্তা থাকছে না।
ডায়াবেটিসের কারণে অনেক সময় হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ে। কিন্তু ডার্ক চকোলেট খেলে আপনি হৃদরোগের ঝুঁকিও কমাতে পারবেন। এক টুকরো ডার্ক চকোলেট খেলেই আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রাও বশে থাকবে। সুতরাং, হার্টের সমস্যা বাড়বে না।
ডায়াবেটিসের কারণে ত্বকে দাগছোপ দেখা যায়। এক্ষেত্রে ডার্ক চকোলেট দারুণ উপকারী। ডার্ক চকোলেট ত্বকে বার্ধক্যের প্রভাব ফেলতে দেয় না। ডার্ক চকোলেট ত্বকের উপর অ্যান্টি-এজিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। সুতরাং, ডায়াবেটিসে এক টুকরো ডার্ক চকোলেট খেলে লাভের জায়গায় ক্ষতি হবে না।