
ওজন কমানো হোক বা ডায়াবেটিসকে বশে রাখা, ওটসের বিকল্প খুঁজে পাওয়া কঠিন। রোজ সকালে জলখাবারে যদি একবাটি করে ওটমিল খাওয়া যায়, তাহলে স্বাস্থ্যের নিয়ে বেশি চিন্তা থাকে না। কারণ এই দানাশস্য, ফাইবার, প্রোটিন, ক্যালশিয়াম এবং অন্যান্য পুষ্টিতে ভরপুর।

সাধারণত ওটস দুধ দিয়ে খাওয়া হয়। আবার অনেকে টক দই ও ফল দিয়ে ওটস খান। কেউ কেউ আবার ওটসের খিচুড়ি, উপমা, ইডলি কিংবা রুটি বানিয়েও খান। আবার ভেগানরা ওটস থেকে তৈরি দুধও পান করেন। কিন্তু ওটস দিয়ে ডিটক্স ওয়াটার ট্রাই করেছে কখনও?

ওটসের জল হয় এক ধরনের ডিটক্স পানীয়। এটি সকালে খালি পেটে খেলে, শরীরে থাকা সমস্ত জমে থাকা দূষিত পদার্থ বের করে দেয়। এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে ফ্রি র্যাডিকেলের হাত থেকে রক্ষা করে। পাশাপাশি ওটসের জল শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।

ওজন কমাতে অনেকেই ওটমিল খান। এবার ওটসের জলও খেতে পারেন। এটি দ্রুত পেটের চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে। ওটসের জলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। সকালে খালি পেটে ওটসের জল খেলে খিদে নিয়ন্ত্রণে তজাকে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।

ওটসের জল হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ওটসের জল শরীরে ভাল কোলেস্টেরলের ভাল উন্নত করে। পাশাপাশি খাবার কোলেস্টেরল বা এলডিএল-এর মাত্রা কমাতে কার্যকর। নিয়মিত এই জল খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

ওটসে দ্রবণীয় ফাইবার থাকে, যা হজমশক্তি বাড়াতে পারে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাকে দূর করে। পাশাপাশি, এটি অন্ত্রে ভাল ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিকেও উৎসাহিত করে। এটি নিয়মিত খেলে হজম সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যও ওটসের জল দারুণ উপযোগী। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়, যা ইনসুলিন স্পাইক প্রতিরোধ করে। এতে রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে। ডায়াবেটিসের চিকিৎসা ওটমিল খাওয়ার পাশাপাশি ওটসের জলও পান করবেন।

ওটসের জল তৈরি করতে ১ কাপ ওটস ২ গ্লাস জলে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে ওটস সমেত জলটা মিক্সিতে ব্লেন্ড করে নিন। এবার ওই জলে মধু ও দারুচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এই ওটসের জল পান করুন।