Usage of mask during pandemics : ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি! মাস্ক না পরলে জেলে পাঠানোর নিদান ছিল ১০০ বছর আগেও

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Jan 04, 2022 | 10:30 PM

History of Masks: করোনার সময় বিশ্বের সব দেশে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেরকম একই ছবি দেখা গিয়েছে আজ থেকে ১০৪ বছর আগে স্প্যানিশ ফ্লু-এর সময়ও।

1 / 6
করোনা অতিমারিতে সারা পৃথিবী জেরবার। করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে গোটা দেশ। কোভিড-১৯ এর একটি ঢেউ কোনওভাবে সামলে উঠতে না উঠতেই ঘাড়ে আছড়ে পড়ছে অন্য আরেকটি। করোনা অতিমারির আগে ঠিক একইরকম ভয়াবহ এক অতিমারি দেখেছিল বিশ্ব। আজ থেকে প্রায় ১০৪ বছর আগে ‘স্প্যানিশ ফ্লু’ নামক এক ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল বিশ্বের প্রায় ৫০ কোটি মানুষ। সেই অতিমারিও চলেছিল প্রায় দুই বছর ধরে। এ যেন ইতিহাসেরই পুনরাবৃ্ত্তি। করোনাও ২০২১ এর ডিসেম্বরে বড়দিনে ছুটির মেজাজে নিজের দ্বিতীয় বছরের জন্মদিনটাও পালন করে নিল। আর এই জন্মদিনে বিশ্ববাসীকে উপহার হিসেবে দিল করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের লাগামছাড়া সংক্রমণ। কিন্তু এই অতিমারি থেকে মুক্তি কবে?

করোনা অতিমারিতে সারা পৃথিবী জেরবার। করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে গোটা দেশ। কোভিড-১৯ এর একটি ঢেউ কোনওভাবে সামলে উঠতে না উঠতেই ঘাড়ে আছড়ে পড়ছে অন্য আরেকটি। করোনা অতিমারির আগে ঠিক একইরকম ভয়াবহ এক অতিমারি দেখেছিল বিশ্ব। আজ থেকে প্রায় ১০৪ বছর আগে ‘স্প্যানিশ ফ্লু’ নামক এক ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল বিশ্বের প্রায় ৫০ কোটি মানুষ। সেই অতিমারিও চলেছিল প্রায় দুই বছর ধরে। এ যেন ইতিহাসেরই পুনরাবৃ্ত্তি। করোনাও ২০২১ এর ডিসেম্বরে বড়দিনে ছুটির মেজাজে নিজের দ্বিতীয় বছরের জন্মদিনটাও পালন করে নিল। আর এই জন্মদিনে বিশ্ববাসীকে উপহার হিসেবে দিল করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের লাগামছাড়া সংক্রমণ। কিন্তু এই অতিমারি থেকে মুক্তি কবে?

2 / 6
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে মোক্ষম অস্ত্র একটাই। তা হল মাস্ক। এই মাস্ক বিষয়টি কী জিনিসি, তা করোনা মহামারির ২ বছর পরও গোটা বিশ্ববাসীকে বলে দিতে হবে না। চিকিৎসকদের একটাই পরামর্শ করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ মাস্কের ব্যবহার। ১৯১৮ সালে স্প্যানিশ ফ্লু এর সময়ও মাস্কের ব্যবহারে কড়াকড়ি করা হয়েছিল। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্কের মতো কোনও বিকল্প নেই।ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় টিকা নেওয়া থাকলে অনেকেই মাস্ক ব্যবহারে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন না। কিন্তু এই উদাসীনতায় সংক্রমণ ছড়াচ্ছে হু হু করে। ডেল্টা সংক্রমণের সময় বিশ্বের বহু বিশিষ্ট চিকিৎসকদের একটাই পরামর্শ। তাঁরা বলেছেন, করোনার বিরুদ্ধে টিকার থেকেও বড় ঢাল হল মাস্ক।

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে মোক্ষম অস্ত্র একটাই। তা হল মাস্ক। এই মাস্ক বিষয়টি কী জিনিসি, তা করোনা মহামারির ২ বছর পরও গোটা বিশ্ববাসীকে বলে দিতে হবে না। চিকিৎসকদের একটাই পরামর্শ করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ মাস্কের ব্যবহার। ১৯১৮ সালে স্প্যানিশ ফ্লু এর সময়ও মাস্কের ব্যবহারে কড়াকড়ি করা হয়েছিল। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্কের মতো কোনও বিকল্প নেই।ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় টিকা নেওয়া থাকলে অনেকেই মাস্ক ব্যবহারে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন না। কিন্তু এই উদাসীনতায় সংক্রমণ ছড়াচ্ছে হু হু করে। ডেল্টা সংক্রমণের সময় বিশ্বের বহু বিশিষ্ট চিকিৎসকদের একটাই পরামর্শ। তাঁরা বলেছেন, করোনার বিরুদ্ধে টিকার থেকেও বড় ঢাল হল মাস্ক।

3 / 6
করোনার সময় বিশ্বের সব দেশে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেরকম একই ছবি দেখা গিয়েছে আজ থেকে ১০৪ বছর আগে স্প্যানিশ ফ্লু এর সময়ও একই ছবি ফুটে উঠেছে। দৈনন্দিন জীবনের এক অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে উঠেছিল মাস্ক। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একজন টাইপিস্ট মুখে মাস্ক পরে কাজ করছেন। মাস্ক ব্যবহারের নিয়ম হলেও তা সবাই মানছে কই?

করোনার সময় বিশ্বের সব দেশে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেরকম একই ছবি দেখা গিয়েছে আজ থেকে ১০৪ বছর আগে স্প্যানিশ ফ্লু এর সময়ও একই ছবি ফুটে উঠেছে। দৈনন্দিন জীবনের এক অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে উঠেছিল মাস্ক। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একজন টাইপিস্ট মুখে মাস্ক পরে কাজ করছেন। মাস্ক ব্যবহারের নিয়ম হলেও তা সবাই মানছে কই?

4 / 6
করোনা অতিমারির সময় কিছু অসচেতন মানুষদের মাস্ক ব্যবহার নিয়ে সতর্ক করতে পথে-ঘাটে সাধারণ নাগরিকদের সচেতনতামূলক প্রচার করতে দেখা গিয়েছে। স্প্যানিশ ফ্লু এর সময়ও এর অন্যথা হয়নি। দেখা যাচ্ছে, রেলের যাত্রীরা সাদা মাস্ক পরে আছেন।তাদের মধ্যে একজনের গলা থেকে আবার একটি প্ল্যাকার্ডও ঝুলছে। তাতে লেখা রয়েছে, মাস্ক পড়ুন, নয়তো জেলে যান (“Wear a mask or go to jail” )। অর্থাৎ, নাগরিকদের মাস্ক ব্যবহারে অনিহা নতুন ঘটনা নয়। আজ থেকে প্রায় ১০৪ বছর আগেও কিছু অসচেতন নাগরিকদের সতর্ক করার দায়িত্ব সাধারণ মানুষদেরও নিতে হয়েছিল।

করোনা অতিমারির সময় কিছু অসচেতন মানুষদের মাস্ক ব্যবহার নিয়ে সতর্ক করতে পথে-ঘাটে সাধারণ নাগরিকদের সচেতনতামূলক প্রচার করতে দেখা গিয়েছে। স্প্যানিশ ফ্লু এর সময়ও এর অন্যথা হয়নি। দেখা যাচ্ছে, রেলের যাত্রীরা সাদা মাস্ক পরে আছেন।তাদের মধ্যে একজনের গলা থেকে আবার একটি প্ল্যাকার্ডও ঝুলছে। তাতে লেখা রয়েছে, মাস্ক পড়ুন, নয়তো জেলে যান (“Wear a mask or go to jail” )। অর্থাৎ, নাগরিকদের মাস্ক ব্যবহারে অনিহা নতুন ঘটনা নয়। আজ থেকে প্রায় ১০৪ বছর আগেও কিছু অসচেতন নাগরিকদের সতর্ক করার দায়িত্ব সাধারণ মানুষদেরও নিতে হয়েছিল।

5 / 6
সাধারণ নাগরিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বা সরকারি তরফের সচেতনতামূলক প্রচারেরও যাদের হুঁশ ফেরেনি তাদের কপালে জুটেছে বিভিন্ন শাস্তি। আমরা এই রাজ্যেই দেখেছি মাস্ক না পরায় কোথাও কান ধরে উঠবোস করিয়েছে পুলিশ। কোথাও আবার পুলিশের শাসনে জামা খুলে মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করেছে অসচেতন নাগরিক। সেরকম স্প্যানিশ ফ্লু এর সময় স্যান ফ্রান্সিসকো, সিয়াটেল, ওকল্যান্ড, ক্যালিফোর্নিয়ার মতো আমেরিকার বেশ কিছু শহরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার জন্য ‘মাস্ক আইন’ লাগু করেছিল। কেউ তা অমান্য করলে তাকে ৫ থেকে ১০ ডলার জরিমানা করা হত বা ১০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হত।

সাধারণ নাগরিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বা সরকারি তরফের সচেতনতামূলক প্রচারেরও যাদের হুঁশ ফেরেনি তাদের কপালে জুটেছে বিভিন্ন শাস্তি। আমরা এই রাজ্যেই দেখেছি মাস্ক না পরায় কোথাও কান ধরে উঠবোস করিয়েছে পুলিশ। কোথাও আবার পুলিশের শাসনে জামা খুলে মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করেছে অসচেতন নাগরিক। সেরকম স্প্যানিশ ফ্লু এর সময় স্যান ফ্রান্সিসকো, সিয়াটেল, ওকল্যান্ড, ক্যালিফোর্নিয়ার মতো আমেরিকার বেশ কিছু শহরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার জন্য ‘মাস্ক আইন’ লাগু করেছিল। কেউ তা অমান্য করলে তাকে ৫ থেকে ১০ ডলার জরিমানা করা হত বা ১০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হত।

6 / 6
একেবারে মাস্ক না পরার পাশাপাশি আরেকটি ছবিও ধরা পড়েছে বিভিন্ন দেশে। কেউ কেউ মাস্ক তো পড়েছেন ঠিকই কিন্তু সেটা মুখে নয়, মাথায়, অথবা নাকের নিচে। আবার কেউ মাস্ক পকেটে নিয়ে ঘুরছেন। সংবাদ মাধ্যমের লোক বা পুলিশ দেখলে পরে নিচ্ছেন। কারণ জিজ্ঞাসা করলে বলা হচ্ছে, খাচ্ছিলেন তাই পরেননি। মাস্ক না পরা নিয়ে এরকম বিভিন্ন মজার মজার অজুহাতের খবর খোদ কলকাতার বুক থেকেই উঠে এসেছে।

একেবারে মাস্ক না পরার পাশাপাশি আরেকটি ছবিও ধরা পড়েছে বিভিন্ন দেশে। কেউ কেউ মাস্ক তো পড়েছেন ঠিকই কিন্তু সেটা মুখে নয়, মাথায়, অথবা নাকের নিচে। আবার কেউ মাস্ক পকেটে নিয়ে ঘুরছেন। সংবাদ মাধ্যমের লোক বা পুলিশ দেখলে পরে নিচ্ছেন। কারণ জিজ্ঞাসা করলে বলা হচ্ছে, খাচ্ছিলেন তাই পরেননি। মাস্ক না পরা নিয়ে এরকম বিভিন্ন মজার মজার অজুহাতের খবর খোদ কলকাতার বুক থেকেই উঠে এসেছে।

Next Photo Gallery