
গরমে টিকতে পারছেন না, ঘর ঢুকেই এসি চালিয়ে তাপমাত্রা কমিয়ে ১৬-১৮ ডিগ্রি করে দেন? ওই সুখের দিন শেষ। এবার থেকে এসির তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির নীচে নামবে না।

কেন্দ্রের তরফেই এই প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে যেখানে বলা হয়েছে, নতুন এসি গুলির তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি থেকে ২৮ ডিগ্রির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। এর থেকে কমানো বা বাড়ানো যাবে না।

এসির অত্যাধিক ব্যবহারের জন্য পরিবেশে যে ক্ষতি হচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে, তা রুখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে জানেন কি, আপনার এসির এক ডিগ্রি তাপমাত্রা ওঠানামাও বিদ্যুতের বিলে বিরাট পরিবর্তন হতে পারে।

রোজ যে তাপমাত্রায় এসি চালান, তার থেকে ১ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমালেও বিদ্যুতের খরচ ৩ থেকে ৬ শতাংশ বেড়ে যায়। সহজ হিসাবে ২৪ ডিগ্রি থেকে ২৫ ডিগ্রি বাড়ালেই বিদ্যুতের খরচ ৩ থেকে ৬ শতাংশ বেড়ে যায়।

ধরুন আপনার বাড়িতে ১.৫ টনের ৫ স্টার ইনভার্টার এসি থাকে, তাহলে ২৪ ডিগ্রি তাপমাত্রায় এসি চললে প্রতি ঘণ্টায় ১ কিলোওয়াট খরচ হয়। সেখানেই তাপমাত্রা বাড়িয়ে ২৫ ডিগ্রি করলে, আপনার প্রতি ঘণ্টায় ৫০ ওয়াট করে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে।

যদি দিনে ৮ ঘণ্টা এসি চলে, তবে ১ ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়িয়েও আপনার দিনে ৩ থেকে ৫ টাকা সাশ্রয় হবে। সেই হিসাবে মাসে ১০০-১৫০ টাকা এবং বছরে ১২০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত সাশ্রয় হতে পারে।

এছাড়া ঘরের তাপমাত্রা, এসির মেইনটেন্যান্স, ফ্যানের ব্যবহারও এসির উপরে চাপ কমায়। যার ফলে বিদ্যুতের বিল কম আসে।

নিয়মিত এসির ফিল্টার পরিষ্কার, ঘর ঠান্ডা রাখতে পর্দা টেনে রাখা, এসি চালানোর সময় দরজা-জানালা বন্ধ রাখলে বিদ্যুৎ কম খরচ হয়।