
গরমে মাথার স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখুন। সপ্তাহে অন্তত তিনবার শ্যাম্পু করুন। শ্যাম্পু করার সময়, রক্তের প্রবাহ বাড়াতে, স্ট্রেস থেকে মুক্তি দিতে এবং চুলের ফলিকলগুলিকে উদ্দীপিত করতে স্ক্যাল্পে ম্যাসেজ করুন। এতে রক্ত সঞ্চালন উন্নত হবে।

নিয়মিত চুলে ও স্ক্যাল্পে তেল মালিশ করুন। স্ক্যাল্পে তেল মালিশ করলে রক্ত সঞ্চালন উন্নত হবে। এছাড়াও মানসিক চাপও কমে যায়। এর ফলে কমে চুল পড়ার সমস্যা।

চুল প্রোটিন কেরাটিন দিয়ে তৈরি, যার মধ্যে সিস্টেইন, সেরিন, গ্লুটামিক অ্যাসিড, গ্লাইসিন এবং প্রোলিন সহ একটি অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে। চুলের বৃদ্ধির জন্য কোলাজেন এবং বায়োটিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন।

স্যাঁতসেঁতে বা ভেজা চুল নিয়ে কখনও শুয়ে পড়বেন না। এই কারণে চুলে তাড়াতাড়ি ফাটল ধরা পড়ে। যদি তাড়া থাকে তাহলে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করে চুল শুকিয়ে নিতে পারেন। একই ভাবে রাতে ঘুমানোর আগে চুল বেঁধে নিন। ঘর্ষণে চুল তাড়াতাড়ি পড়ে যায়।

গ্রীষ্মকাল আসার পর থেকেই সূর্যের রশ্মি আপনার চুলের ক্ষতি করা শুরু করতে পারে। অতিরিক্ত সূর্যের আলোতে চুলের গোড়া ও মাথার ত্বক শুকিয়ে যেতে পারে। চুলকে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করতে সঙ্গে রাখুন টুপি, ছাতা বা স্কার্ফ। সিল্কের স্কার্ফ চুলের মধ্যে ঘর্ষণ কমায়, তাতে চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে।

নামি দামি ব্র্যান্ডের পণ্য কেনার আগে বুঝে নিন চুলের ধরন। এমনকি রঙ করা চুলের জন্যও রয়েছে আলাদা শ্যাম্পু। সুতরাং চুলের পণ্য বেছে নেওয়ার আগে চুলের ধরন বুঝে ব্যবহার করুন।