বিশেষজ্ঞদের মধ্যে গরমকালে হাইড্রেট থাকলে অনেক রোগ কমে যায়। তাই এই সময় বেশি করে জল পান করুন। এর সঙ্গে ফলের রস, সবজির রস এবং ডাবের জল, বেলের সরবত, লেবুর জলও পান করতে পারেন।
এর পাশপাশি হালকা পোশাক পরার চেষ্টা করুন। এই ক্ষেত্রে সুতি, খাদি, লিনেনের ফ্র্যাবিক ব্যবহার করুন। এতে গরম কম লাগে। চেষ্টা করুন হালকা রঙের জামাকাপড় ব্যবহার করার। এতে শরীরের ঠান্ডা থাকে।
ঠান্ডা জলে স্নান করলে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত কমে যায়। ফলে গরমে অস্বস্তি থেকে অনেকটা স্বস্তি মেলে। যত তাড়াতাড়ি ঠান্ডা জলে স্নান করে নিতে পারেন, তাতে হার্ট অ্যাটাক ও শরীরের অন্যান্য ঝুঁকি থেকে মুক্তি মেলে দ্রুত। প্রয়োজনে দিনে দু' বার স্নান করুন।
হার্টের রোগীরা বেশ কিছু ব্যায়াম করতে পারেন। এর জন্য বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন। চেষ্টা করুন একদম ভোরে কিংবা রাতে ব্যায়াম করার। যোগাসনও করতে পারেন। ঘাম বাড়তে শুরু করলে, হৃদস্পন্দন বেড়ে গেলে বা বুকে ব্যথা শুরু হলে দেরি না করে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত সূর্যের প্রখর তাপে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। চেষ্টা করুন এই সময় ঘরের ভিতরই থাকার। বিশেষত আপনি যদি হার্টের রোগী হন। আর যদি বাইরে বের হন তাহলে সঙ্গে ছাতা, জলের বোতল রাখুন।
আবহাওয়া যাই হোক না কেন, হৃদরোগীদের সবসময় নিয়মিত চেকআপ করাতে হবে। এটির সাহায্যে, আপনি নিজের ভাল যত্ন নিতে সক্ষম হবেন এবং একই সঙ্গে গুরুতর পরিস্থিতি এড়াতে পারবেন। আর আপনি যদি হার্টের রোগী হন বা আপনার যদি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে, তাহলে কোনও ভাবে ওষুধ খাওয়া এড়াবেন না।