
কোরিয়ান বিউটির দৌলতে রূপচর্চায় রাইস ওয়াটারের প্রচলন বেড়েছে। মুখ পরিষ্কার থেকে শুরু করে চুলের ধোয়ার কাজে রাইস ওয়াটার দারুণ উপকারী। তাই এখন অনেকেই চাল ধুয়ে জলটা আর ফেলেন না। তুলে রাখেন আর কাজে লাগান রূপচর্চায়।

যদিও চাল ধোয়া জলের মধ্যে ভিটামিন বি, সি এবং ই, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফলিক অ্যাসিড এবং ম্যাগনেসিয়াম মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে। তাই নিয়মিত চুলে চাল ধোয়া জল স্প্রে করলে ঘন, লম্বা চুল পাওয়া যায়।

কিন্তু আজকে আমরা চাল ধোয়া নয়, বরং বাসি ভাত দিয়ে চুলের যত্ন নেওয়ার কথা আলোচনা করব। চাল ধোয়া জলের ব্যবহার কমবেশি অনেকেই জানেন। কিন্তু বাসি ভাত মাথায় মাখলে কী হয়, জানেন? এতেও আপনি পেতে পারেন লম্বা ও ঘন চুল।

অনেক সময়ই রান্না করা ভাত বেঁচে যায়। সেই ভাত তুলে রাখুন। সেই অবশিষ্ট ভাত দিয়ে বানিয়ে নিন হেয়ার মাস্ক। ভাতের তৈরি হেয়ার মাস্ক আপনার চুলে এনে দিতে পারে মসৃণতা। পাশাপাশি এটি চুলের গোড়া মজবুত করে।

চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত একটি সুরক্ষিত স্তর তৈরি করে ভাতের হেয়ার মাস্ক। আপনি যদি দু'মুখো চুল, চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন, তাহলে এই ভাতের তৈরি হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন। এছাড়া এটি ফ্রিজি হেয়ারের সমস্যাও দূর করে দেয়।

এমনকী স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে ভাত। এই হেয়ার মাস্ক স্ক্যাল্পের পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখে। চুলের ফলিকলকে মজবুত করে। এতে চট করে আপনি চুল পড়ার সমস্যার সম্মুখীন হবেন না।

কীভাবে এই হেয়ার মাস্ক বানাবেন, দেখে নিন। ১/৪ কাপ রান্না করা ভাত ভাল করে চটকে মেখে নিন। প্রয়োজনে মিক্সিতে পেস্টও বানিয়ে নিতে পারেন। এর সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল, আমন্ডের তেল ও ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েলের কয়েক ফোঁটা মিশিয়ে দিন।

এবার এই হেয়ার মাস্ক ভাল করে চুলে লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে একদিন করে আপনি এই হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার চুলের যাবতীয় সমস্যা দূর হয়ে যাবে।