
হার্নিয়া একটি পেটের অন্ত্রের রোগ। হার্নিয়া সনাক্ত হয়ে যাওয়ার পরও সময়মত চিকিত্সা করাচ্ছেন না! এই অপারেশন তেমন ভয় পাওয়ার মতো নয়, ঠিকই। তবে কষ্টদায়ক। সময়মত চিকিত্সা না করালে জীবন নিয়ে টানাটানি পড়ে যেতে পারে। অপারেশনের ভয়ে অমেকেই হার্নিয়ার চিকিত্সা না করালে গুরুতর কিছু হতে পারে।

অনেকই মনে করেন, এই রোগটি আসলে পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। বেশিরভাগ হলেও পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও হার্নিয়া দেখা যায়। অনেকে হার্নিয়া হলেও খুব একটা তোয়াক্কা করেন না। ফলে সে অসুখ সহজে সেরে যেতে পারত, সেই অসুখই প্রাণসংশয় ডেকে আনে।

হার্নিয়া ধরা পড়লে প্রথমেই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ নিন। হার্নিয়ার একমাত্র সমাধান অপারেশন। অপারেশনের প্রকারভেদ রয়েছে কিন্তু অপারেশন ছাড়া হার্নিয়ার চিকিৎসার আর কোনও বিকল্প নেই।

অপারেশনে শরীরের স্বস্থান থেকে বিচ্যুত অঙ্গ বা অঙ্গের কোনও অংশকে পুনরায় যথাস্থানে ফিরিয়ে দিয়ে দুর্বল পারিপার্শ্বিক মাংসপেশি ও কোষকলাগুলোকে শক্ত ও টান টান করে দেওয়া হয়। হার্নিয়ায় শরীরের যে অংশে ত্রুটি থাকে সেখানে একটি রিং-এর মতো ফোলাভাব আকারে প্রকাশ পায়।

হার্নিয়া নিয়ে এখনও সচেতন নয় মানুষ। অনেক ধরনের হার্নিয়া আছে যেমন ইনগুইনাল (গ্রোইন) হার্নিয়া, ফেমোরাল হার্নিয়া, অ্যাম্বিলিক্যাল হার্নিয়া এবং হাইটাল হার্নিয়া।

বয়স, গর্ভাবস্থা, গুরুতর আঘাতের কারণে পেটের ক্ষতি, পারিবারিক ইতিহাস, কোষ্ঠকাঠিন্য, ভারী ওজন তুললে, হঠাৎ ওজন বৃদ্ধি পেলে হার্নিয়া দেখা যায়। বিশেষ করে ছেলেদের ডানদিকের কুঁচকিতে গ্রয়েন হার্নিয়া হয়৷ আসলে জন্মগত কারণে ছেলেদের কুঁচকির জায়গায় একটি ছিদ্র থাকে। ভ্রূণ অবস্থায় অণ্ডকোষ ছেলেদের পেটের ভিতর তৈরি হয়।

চিকিত্সা না করানো হলে হার্নিয়ার জটিলতা বেড়ে যায়। হার্নিয়া অপারেশন করে মুক্ত না হলে অন্ত্রের সমস্যা, এমনকি শ্বাসরোধের মতও ঘটনা ঘটতে পারে। হার্নিয়া অপারেশন ল্যাপারোস্কোপির মাধ্যমেই করা যায়। এই পদ্ধতিতে রক্তপাত, ব্যথা কম হয়, তেমনই রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে