Benefits of Chandan: কোন চন্দন কোন পুজোর জন্য সবচেয়ে শুভ? গুরুত্ব না বুঝে ব্যবহার করলেই বাড়বে বিপদ
TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস
May 14, 2023 | 1:01 PM
Importance And Significance: আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে চন্দন কাঠের ব্যবহার বহুল প্রচলিত। তবে হিন্দু ধর্মের যে কোনও শুভ কাজে বা পুজোর আচারেও চন্দন কাঠের ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
1 / 10
ধর্মীয় গুরুত্ব এতটাই বেশি যে চন্দন ছাড়া কোনও দেবতার পুজো অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। লাল চন্দন, হলুদ চন্দন, শ্বেত চন্দন, হরি চন্দন, গোপী চন্দন ইত্যাদি অনেক ধরনের চন্দন রয়েছে যেগুলি বিভিন্ন পুজোয় ব্যবহার করা হয়।
2 / 10
যেমন শ্রী হরি বিষ্ণুকে তিলক লাগানোর জন্য চন্দন কাঠ ব্যবহার করা হয়। আবার এর মালা মন্ত্র উচ্চারণের জন্যও ব্যবহার করা হয়। চন্দন শুধুমাত্র ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গেই নয়, মনের ইচ্ছার সঙ্গেও জড়িত।
3 / 10
চন্দন কয়েকপ্রকারের হয়ে থাকে। যেগুলি বিভিন্ন পুজোয় ব্যবহার করা হয়। তবে কোন পুজো কোন চন্দন কাঠ ব্যবহার করা হয়, তা জেনে নিন এখানে...
4 / 10
শ্বেত চন্দন কাঠের গুরুত্ব: বিশ্বাস করা হয় যে গলায় সাদা চন্দনের মালা পরলে বিষ্ণুর কৃপা পাওয়া সহজ হয়ে যায়। এছাড়া মানসিক শান্তি ও সুখ ও সমৃদ্ধি লাভ করা যায়। শ্বেত চন্দনের মালা দিয়ে মহাসরস্বতী, মহালক্ষ্মী মন্ত্র, গায়ত্রী মন্ত্র ইত্যাদি জপ করা বিশেষ শুভ।
5 / 10
চন্দনের মালার মতো চন্দনের তিলক অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। হিন্দুদের বিশ্বাস, শ্রী রাম, শ্রীকৃষ্ণ ও মহাদেবের পুজোয় চন্দনের কপালে লাগালে সমস্ত পাপ নাশ হয় ও পুণ্য লাভ করা যায়। কপালে তিলক লাগালে সমস্ত বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। সুখ ও সৌভাগ্যের অন্যতম কারণও বটে।
6 / 10
লাল চন্দন: জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, শক্তির আরাধনায় চন্দন কাঠকে কন্যা রূপে ব্যবহার করা হয়। মনে করা হয় যে লাল চন্দনের পুঁতি দিয়ে দেবী দুর্গার জন্য মন্ত্র জপ করা শুভ। আশীর্বাদ তো বর্ষিত হয়ই, সঙ্গে পুজোয় ব্যবহার করা হলে মঙ্গলগ্রহের দোষ-ত্রুটিও কেটে যায়।
7 / 10
প্রতিদিন সকালে তামার পাত্রে জল নিয়ে তাতে লাল চন্দন, লাল ফুল ও চাল যোগ করে প্রসন্ন চিত্তে সূর্য মন্ত্র উচ্চারণ করে ভগবান সূর্যকে অর্ঘ্য নিবেদন করা উচিত। অর্ঘ্যদানে প্রসন্ন হয়ে সূর্যদেব দীর্ঘায়ু, সুস্বাস্থ্য, সম্পদ, শস্য, পুত্র, বন্ধু, নাম-যশ, খ্যাতি, বিদ্যা, বৈভব ও সৌভাগ্য দান করেন।
8 / 10
গোপী চন্দন: স্কন্দ পুরাণ অনুসারে, সাধারণত গোপী চন্দন ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে নিবেদন করা হয়। কপালে তিলকের আকারে ব্যবহার করেন ভক্তরা। তীর্থস্থানে দান ও উপবাস পালনের ফল লাভ করা যায়
9 / 10
হিন্দুদের বিশ্বাস অনুযায়ী, যে ব্যক্তিরা পাপকর্মে জড়িয়ে রয়েছেন বা ছিলেম, তারা যদি যে প্রতিদিন গোপী-চন্দনের সঙ্গে তিলক পরেন, তাদর উপর শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদ বর্ষিত হয়।
10 / 10
হরি চন্দন: শাস্ত্র অনুসারে, ভগবান বিষ্ণুকে হরি চন্দন তিলক লাগানোর পরই ভক্তরা কপালে প্রয়োগ করতে পারেন। এতে করে মন ও শরীর উভয়ই শান্ত থাকে। পাশাপাশি সর্বক্ষেত্রে সাফল্যের পাশাপাশি সম্মানও বৃদ্ধি পায়। তুলসীর শাখা ও মূল থেকে হরি চন্দন প্রস্তুত করা হয়। এই চন্দন প্রয়োগ করলে মানুষের রোগ ও দুঃখ দূর তো হয়ই, সঙ্গে ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদ পাওয়া যায়।