
সালটা ২০০৫। দক্ষিণ আফ্রিকার সুপারস্পোর্টস পার্কে মেয়েদের আইসিসি ওডিআই বিশ্বকাপের ফাইনাল। মুখোমুখি ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া টিম ভারতের সামনে ২১৬ রানের লক্ষ্য রেখেছিল। মিতালি রাজের নেতৃত্বে ১১৭ রানেই গুটিয়ে যায় ভারত। ট্রফি জয়ের এত কাছে গিয়েও ফিরে আসা মেয়েদের হৃদয় ভেঙে দিয়েছিল। হৃদয় ভেঙেছিল দলের ডানহাতি অফস্পিনার নুশিন আল খাদিরেরও। (ছবি:টুইটার)

২০০৫ সালের হারের যন্ত্রণা নিয়েই এতগুলো দিন কাটিয়েছেন নুশিন। ক্রিকেটার হিসেবে না পারলেও কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জেতার মতো একটি দল গড়ার প্রতিজ্ঞা নিয়েছিলেন নুশিন। তাতেই একশো শতাংশ সফল তিনি।(ছবি:টুইটার)

১৮ বছর আগের ওই ফাইনালে বল বা ব্যাট হাতে তেমন অবদান রাখতে পারেননি নুশিন। এরপর বাইশ গজকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানিয়েছেন। অনূর্ধ্ব ১৯ মেয়েদের দলকে কোচিং করানোর দায়িত্ব যখন পেলেন, দ্বিতীয়বার নুশিন আল খাদিরের সামনে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ এসে যায়। ক্রিকেটার নয়, কোচ হিসেবে। (ছবি:টুইটার)

অনূর্ধ্ব ১৯ টিমের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শক্তিশালী দল গড়ার কাজে মন দেন। বিশ্বকাপের জন্য তিল তিল করে তুলেছিলেন দল। তারাই ফলিয়েছে সোনার ফসল। মেয়েদের ক্রিকেটে প্রথম বিশ্বকাপ, প্রথমবার কোনও আইসিসি ট্রফি এসেছে ভারতের ঘরে। (ছবি:টুইটার)

হেরে গিয়েও জিতে গেলেন নুশিন। শেফালি ভার্মা, তিতাস সাধুদের কোচ শাহরুখ খানের 'বাজিগর' সিনেমার ওই বিখ্যাত ডায়লগটা আওড়াতেই পারেন।(ছবি:টুইটার)

২০০২ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক নুশিনের। ভারতের হয়ে ৭৮টি ম্যাচ খেলেছেন। ৩.৫৭ ইকোনমি রেটে ১০০টি উইকেট নেওয়ার নজির রয়েছে তাঁর। ওডিআই ফরম্যাটে ১৪ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেওয়া নুশিনের কেরিয়ারের সেরা পারফরম্যান্স। (ছবি:টুইটার)

আন্তর্জাতিক টি-২০তেও ১টি উইকেট নিয়েছেন। ২০০৮ সালে সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শেষবার খেলেছিলেন আন্তর্জাতিক ম্যাচ। (ছবি:টুইটার)

আইসিসি অনূর্ধ্ব ১৯ মেয়েদের টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম সংস্করণেই কোচ হিসেবে ভারতকে বিশ্বকাপ ট্রফি এনে দিলেন নুশিন আল খাদির। বিশ্বকাপজয়ী কোচদের তালিকায় জুড়ে গেল নাম। এমন একটি দিনের অপেক্ষাতেই ছিলেন। নুশিনের খুশির বাঁধ ভেঙেছে।(ছবি:টুইটার)