
নেপালীরা এভারেস্টকে সাগরমাথা বলেন, যার অর্থ আকাশের দেবী। অন্যদিকে, তিব্বতীরা একে চোমলুংমা নামের স্বীকৃতি দেয়, যার অর্থ পর্বতের দেবী মা।

বিজ্ঞানীদের মতে, ২০১৫ সালে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর এভারেস্টের উচ্চতা হয়তো পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে পুনরায় এভারেস্টের উচ্চতা পরিমাপের প্রক্রিয়া চলছে।

তবে এভারেস্টের উচ্চতা প্রতি বছর বৃদ্ধি পায়। এটি টেকটনিক প্লেটগুলি স্থানান্তরিত হওয়ার কারণে ঘটে, যা হিমালয়কে উপরের দিকে ঠেলে দেয়।

বর্তমানে মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা ৮৮৪৮ মিটার, যে কারণে এটি বিশ্বের উচ্চতম পর্বত। ১৮৫৬ সালে যখন প্রথম বিজ্ঞানীরা এভারেস্ট পরিমাপ করেন, তখন এটির উচ্চতা ছিল ৮৮৪০ মিটার।

এভারেস্ট প্রথম আবিষ্কার করেন স্যার জর্জ এভারেস্ট ১৮৪১ সালে। তিনি এর নাম দিয়েছিলেন পিক ১৫। কিন্তু ১৮৬৫ সালে স্যার জর্জ এভারেস্টের সম্মানে পর্বতের নাম পরিবর্তন করে এভারেস্ট করা হয়।

এভারেস্ট আরোহণ শুধু শারীরিক দিক দিয়ে কঠিন নয়। অর্থের দিক দিয়েও এখানে পৌঁছানো বেশ ব্যয়বহুল। বিশ্বের সর্বোচ্চ শিখর আরোহণের গড় ব্যয় প্রায় ৪৫,০০০ ডলার, যা ভারতীয় মুদ্রায় ৩৩,৮০,৪১৫ টাকা।

১৯৭০ সালে নেপালের সোলুখুম্বুতে জন্মগ্রহণকারী কামি রিতা শেরপা একজন গাইড, যিনি এভারেস্টে সর্বাধিক আরোহণের রেকর্ড ধরে রাখার জন্য পরিচিত (মার্চ ২০২১ পর্যন্ত)। তিনি ১৯৯৪ সাল থেকে ২৫ বার এভারেস্ট আরোহণ করেছেন।