
লকডাউনের মাঝে হঠাৎই আসে দুঃসংবাদ। প্রয়াত অভিনেতা ইরফান খান। জনশূণ্য রাস্তায় সেদিন ছিল না ভক্তের ঢল। সিনেদুনিয়ার হাতে গোনা কয়েকজন কাছের মানুষ ও পুত্রকে নেই শেষ যাত্রা ইরফানের।

ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছিলেন ইরফান। শেষ সময় স্ত্রী সুতপা সিকদার সর্বত্রই ছিল সঙ্গে সঙ্গে। ইরফানের চিকিৎসার সমস্ত আপডেট রাখতে চোখে চোখে। সমস্ত চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নিতেন নিজেই। আর আজ সেই সব দিনের কথা মনে পড়লে বুক কাঁপে তাঁর।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সুতপা জানান, ইরফান চলেগিয়েছে প্রায় ২ বছর পার। তবে আজও তাঁর মেজিক্যাল ফাইল আগলে রেখেছেন সুতপা। ফেলে দেননি। মাঝে মধ্যেই তা খুলে খুলে দেখেন তিনি।

সুতপার কথায়, বারে বারে তাঁর মনে প্রশ্ন জাগে, তিনি কোনও ভুল করে ফেললেন না তো! তাঁর সিদ্ধান্তে কোনও ভুল থেকে গেল না তো! ইরফানের চিকিৎসায় তিনি কোনও ভুল করে ফেলেননি তো। অবসে ফাইল খুলে আজও উত্তর খোঁজেন তিনি।

মাত্র ৫৩ বছর বয়সে সকলকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন ইরফান। ২৯ এপ্রিল ২০২০ সাল। মৃত্যুর আগেরদিনই তড়িঘড়ি তাঁকে মুম্বইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে খুব বেশি সময় দেননি অভিনেতা।

সুতপার কথায় ক্যান্সারের কোনও লক্ষ্যণই ছিল না। কেবল কিছু অস্বস্তির জন্য ডাক্তারের কাছে যাওয়া। শুটের আগে একবার দেখিয়ে নেওয়া। সেখান থেকে টেস্ট, টেস্টের পরে টেস্ট, এভাবেই চলতে থাকে দিন ১৫, তারপরই জানা যায় ইরফানের ক্যান্সারের খবর। তখন থেকেই সবটা চোখে চোখে রেখেছিলেন সুতপা দেবী। আজও সেই স্মৃতি আগলে ইরফানকে খুঁজে ফেরেন তিনি।