Kali Puja 2024: শিয়াল কি মা কালীর বাহন নাকি দেবীরই আরেক রূপ?
Kali Puja 2024: দেবীর মূর্তির পাশেই কেন থাকে শৃগাল, এর পিছনে রয়েছে নানা মত। কথিত, দেবী কালিকা চণ্ডিকা রূপে প্রথম আবির্ভূত হন, শশ্মানে। শশ্মান মানে সেখানে শিয়ালের বাস।
1 / 8
আদ্যাশক্তি মহামায়া তিনি। মহাকাল যাঁর নখদর্পণে তিনিই মহাকালী। কালিকা দেবীর রয়েছে নানা রূপ। কোথাও তিনি শশ্মানবাসিনী, কোথাও তিনি দয়াময়ী। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের শক্তির প্রতিরূপ তিনি। যখনই সৃষ্টির বুকে মাত্রা ছাড়িয়েছে অধর্ম তখনই তিনি আবির্ভূত হয়েছেন খড়্গ হস্তে।
2 / 8
তাঁর পদতলে থাকেন স্বয়ং মহাদেব। দেবীর একটি পা থাকে ভূতলে তো একটি পা থাকে শিববক্ষে। দুই সঙ্গিনী ডাকিনি-যোগিনী'কে নিয়ে কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যা তিথিতে পূজিত হন দেবী কালিকা। দেবী মূর্তির পাশে থাকে শিয়ালের মূর্তিও। কিন্তু শিয়ালই কেন? জানেন, এর পিছনের গুঢ় রহস্য?
3 / 8
দেবীর মূর্তির পাশেই কেন থাকে শৃগাল, এর পিছনে রয়েছে নানা মত। কথিত, দেবী কালিকা চণ্ডিকা রূপে প্রথম আবির্ভূত হন, শশ্মানে। শশ্মান মানে সেখানে শিয়ালের বাস। তাই মায়ের প্রথম রূপই ছিল শিয়াল পরিবৃত।
4 / 8
খড়্গ হাতে সংসারের পাপ নাশ করেন, দেবী কালিকা। উগ্র রূপে ভক্তদের কাছে ধরা দেন তিনি। খড়্গের গায়েই আঁকা থাকা চোখ। মনে করা হয়, মায়ের খড়্গ অজ্ঞানতাকে দূর করে, মানুষকে বোধ দান করে। খড়্গে আঁকা চোখ অন্ধকারকে নাশ করে। আর শিয়াল বুদ্ধিমান প্রাণী হিসাবেই পরিচিত। তাই নিজের বুদ্ধির জোরেই মায়ের বাহন শিয়াল।
5 / 8
পুরাণে অনেক জায়গায় 'কোকমুখো' নামে সম্বোধন করতে দেখা গিয়েছে দেবী মহাকালীকে। কোক কথার অর্থ হল নেকড়ে বাঘ বা শিয়াল। অর্থাৎ, হিন্দু পুরাণের এই বিষয়টির দিকে তাকালে বোঝা যায় যে, শিয়াল বা শৃগাল কেবল দেবীর বাহন নয়, বরং দেবীর আরেক রূপভেদ।
6 / 8
বহু প্রাচীন প্রত্নলিপিতত্ত্বে 'কোকমুখো' দেবীর উল্লেখ পাই, যেখানে দেবী কোকমুখ, অর্থাৎ দেবী নিজেই শৃগাল বা নেকড়ের মুখধারণ করছেন। বহু জায়গায় শ্মশান কালী মায়ের পুজোর আগে শিবা-ভোগ দেওয়ার রীতি রয়েছে। যেখানে শৃগালকে তুষ্ট করাই উপাচার।
7 / 8
ভগবান বিষ্ণুর সঙ্গেও রয়েছে শিয়াল যোগ। বিষ্ণুকেও কোকমুখ বলা হয়েছে। সে কোকমুখ বিষ্ণুর স্মৃতি উগ্রমাধব বা নরসিংহ মূর্তির মধ্যে লুকিয়ে থাকতে পারে বলেও মত অনেকের। কাটোয়াতে অট্টহাস্য গ্রামে ফুল্লরা দেবীর পুজোর আগেও শিবাভোগ দেওয়ার প্রচলন আছে।
8 / 8
শিবাভোগ মানে কিন্তু ভগবান শিবকে ভোগ নিবেদন করা নয়। শিবাভোগ অর্থাৎ শিয়ালদের সপরিবারে মাতৃজ্ঞানে পুজোর প্রসাদী ভোগ খাওয়ানোর রীতি। এই নিয়ম সম্পন্ন হলে তবেই শেষ হয় দেবীর পুজো। কাটোয়া ছাড়াও অনেক জায়গায় আজও এই প্রথার প্রচলন রয়েছে।