
চন্দননগর ও কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর কথা সকলেরই মুখে মুখে ফেরে। তবে কলকাতাতেও বহু জায়গায় জগদ্ধাত্রী পুজো হয়, যার বয়স কয়েক দশক। এরকমই কলকাতার তালতলা জগদ্ধাত্রী পুজো।

১৯৭১ সালে এই পুজো শুরু হয়। পাড়ার কয়েকজন অল্প বয়সি ছেলে মিলে এই পুজো শুরু করে। সময়ের হাত ধরে এগিয়ে গিয়েছে সেই পুজো। সময় এগিয়েছে, পুজোও বহরে বেড়েছে।

এলাকার লোকজনই অত্যন্ত নিষ্ঠাভরে, দায়িত্ব নিয়ে এই পুজোর আয়োজন করেন প্রতি বছর। আর জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে হয় অন্নকূট উৎসবও।

মূলত নবমী ও দশমীর দিন অন্নকূট মহোৎসব হয় এখানে। ভাত, পোলাও, নানা রকমের সবজি, ভাজা দিয়ে জগজ্জননীর অন্নকূট হয়। অন্নকূটের অন্ন সাজানো হয় মায়ের মুখের আদলে।

নতুন শাড়ি, ফুলের গয়না দিয়ে সাজানো হয় অন্ন। মায়ের মূর্তির সঙ্গে পূজিত হয় সেই অন্নও। বহু দূর থেকে মানুষ আসেন এখানে। দেবী দর্শনের সঙ্গে অন্নকূটের প্রসাদ। এও তো মনের আরাম, প্রাণের শান্তি।

অন্নকূটের অন্নে মায়ের প্রতীকী মুখ তৈরি হয় সাদা ভাতের উপর পোলাও দিয়ে। তাতে হাতের সাহায্য নাকের আদল, চোখ করা হয়। লাল শাকভাজা, বড়ি ভাজা, পটল, শিম, বেগুন ইত্যাদি দিয়ে সাজানো হয়।

অন্নকূটের দিন ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ আসেন প্রসাদ নিতে। এরপর একাদশীর দিন শোভাযাত্রা করে প্রতিমা নিরঞ্জন হয়। আবারও একটা বছরের অপেক্ষায় দিন গোনা শুরু হয় এখানকার মানুষের।