
হিন্দুধর্ম ও ক্যালেন্ডার অনুসারে, প্রতি বছর ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে জন্মাষ্টমী উত্সব পালন করা হয়। কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর দিন ভক্তরা সারাদিন উপবাস পালন করে থাকেন। এ বছর জন্মাষ্টমী পালন করা হবে আগামী বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর।

জন্মাষ্টমীর উৎসবের দিন কৃষ্ণের জন্মবার্ষিকী হিসেবে পালন করা হয়। জন্মাষ্টমীতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শিশু রূপগোপালের পুজো করা হয়। জন্মাষ্টমীর শুভ উপলক্ষ্যে, অনেকে কৃষ্ণের শিশু রূপ গোপালের মূর্তি বাড়িতে নিয়ে আসেন। বাড়িতে আনার পরই প্রথমেই কৃষ্ণসেবা করা জরুরি।

বাড়িতে প্রথম কৃষ্ণগোপালের মূর্তি আনলে বেশ কিছু নিয়ম পালন করা উচিত। সেই নিয়মগুলি মেনে চললে কৃষ্ণার কৃপায় সুখ-সমৃদ্ধি বজায় থাকে।

লাড্ডু গোপালকে নিয়মিত সকালে আবহাওয়া অনুযায়ী ঠান্ডা বা গরম জল দিয়ে স্নান করাতে হবে। এর পরে, পরিষ্কার ও সুন্দর কাপড় পরিধান করানো উচিত। পোশাক পরার সময়ও আবহাওয়ার কথা মাথায় রাখা জরুরি।

গ্রীষ্মকালে হালকা পোশাক ও শীতকালে উলের তৈরি পোশাক পরাতে পারেন। লাড্ডু গোপালের পোশাক প্রতিদিন বদলানো উচিত। এরপর গোপালঠাকুরকে প্রতিদিন সাজাতে হবে। তাই তার পাশাপাশি অবশ্যই কানের দুল, কব্জিতে একটি ব্রেসলেট, একটি বাঁশি , হাতে একটি ময়ূরের পালক, মাথায় মুকুট, ও কপালে চন্দনের তিলক লাগান।

কৃষ্ণ গোপালের নিয়মিত পুজো করা উচিত। সকাল-সন্ধ্যে গোপালকে লাড্ডু নিবেদন করুন। তবে মাথায় রাখবেন, খাবার যেন সাত্ত্বিক হয়। নৈবেদ্যতে তুলসী পাতাও যোগ করুন। রাত নামার সঙ্গে পরিষ্কার বিছানায় শুয়ে দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিন ছোট্ট শিশুর মতো। এরপর ঠাকুর ঘরের দরজা বন্ধ করে দিতে হবে।

ঘুম পাড়াবার সময় গুনগুন করে গানও গাইতে পারেন। ছোট্ট শিশুর মতো করেই গোপাল সেবা করতে পারেন। লাড্ডু গোপাল হল শ্রীকৃষ্ণের শিশুরূপ। তাই একেবারে শিশুর মতোই রাখতে হবে গোপাল ঠাকুরের।

মনে রাখবেন, লাড্ডু গোপালকে যেন বেশিক্ষণ বাড়িতে একা না রাখা হয়। যদি দীর্ঘ সময়ের জন্য বাইরে যান তবে অবশ্যই কৃষ্ণ গোপালকে সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেন। যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে কোনও আত্মীয়কে দায়িত্ব দিয়ে যেতে পারেন।