বর্তমানে হাই-স্পিড ডেটার সঙ্গে মানুষ সাশ্রয়ী দামের ডেটা খুঁজছে। অর্থাৎ সাশ্রয়ী দামে হাই-স্পিড ইন্টারনেট। সেই প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রিলায়েন্স জিও (Reliance Jio) এবং এয়ারটেল (Airtel) উভয় সংস্থাই। উভয়ই সাশ্রয়ী দামে ভাল ইন্টারনেট পরিষেবা দেয়।
তবে যদি 300 টাকার কম প্ল্যানের কথা বলা হয়, তাহলে এই রেঞ্জে উভয় কোম্পানিই একই দামের একটি প্ল্যান অফার করে। তাহলে আপনার মনে নিশ্চয়ই প্রশ্ন আসছে যে, কোন প্ল্যানটি বেশি ভাল? তাদের মধ্যে পার্থক্য কী? তবে এখানে সবের উত্তর আপনি পেতে চলেছেন। এই দুটি প্ল্যান সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে যাতে আপনি খুব সহজেই নিজের পছন্দ মতো একটি প্ল্যান বেছে নিতে পারেন।
প্ল্যানটি কী? প্ল্যানটি হল জিও (Jio) এবং এয়ারটেলের (Airtel) 296 টাকার প্রিপেড প্ল্যান। উভয় ক্ষেত্রেই অনেক সুবিধা রয়েছে। আপনাকে সেই বিষয়েই বিস্তারিত জানানো হবে।
Airtel 296 প্রিপেড প্ল্যানের বিস্তারিত: Airtel-এর 296 টাকার প্ল্যানে 25GB হাই-স্পিড ডেটা দেওয়া হয়। এছাড়াও প্রতিদিন আনলিমিটেড কলিং এবং 100টি SMS পাওয়া যায়। প্ল্যানটি 30 দিনের বৈধতার সঙ্গে আসে। কিন্তু বিশেষ সুবিধার ক্ষেত্রে, এই প্ল্যানটি Polo 24X7 সার্কেল সুবিধা, Fastag-এ 100 টাকা ক্যাশব্যাক, বিনামূল্যে Hellotunes এবং বিনামূল্যে Wynk Music সাবস্ক্রিপশন পাওয়া যায়।
রিলায়েন্স জিও 296 প্রিপেইড প্ল্যানের বিস্তারিত: Jio-এর 296 টাকার প্ল্যানটিতে 30 দিনের বৈধতা রয়েছে। এই প্ল্যানে প্রতিদিন আনলিমিটেড কলিং এবং 100টি SMS দেওয়া হয়। এতে ব্যবহারকারীরা 25GB ডেটা পাবেন। এই প্ল্যানটি Jio 5G অফারে আসে। অর্থাৎ এই প্ল্যানে ব্যবহারকারীরা 5G উপভোগ করতে পারবেন। অন্যান্য সুবিধার কথা বলতে গেলে, প্ল্যানে JioTV, JioCinema, JioSecurity এবং JioCloud-এর বিনামূল্যে সাবস্ক্রিপশন দেওয়া হয়েছে।
আপনি যদি উভয় প্ল্যান বিবেচনা করে দেখেন, তবে জিও (Reliance Jio) এবং এয়ারটেল (Airtel) উভয় সংস্থাই 25GB ডেটা দিচ্ছে। আর সঙ্গে দু'টি সংস্থাই দিচ্ছে 30 দিনের বৈধতা এবং আনলিমিটেড কলিং। কিন্তু পার্থক্য শুধু অতিরিক্ত সুবিধায়। আপনি যদি জিও বা এয়ারটেল ব্যবহারকারী হন তবে আপনার কাছে একটি মাসিক প্যাকের বিকল্প থাকবে যা আপনি আপনার ইন্টারনেট ব্যবহার অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারেন।