Joshimath Land Sinking: নতুন বছরে কেদার-বদ্রীনাথ যাওয়ার প্ল্যান? জানেন কী বিপদের মুখে পড়তে পারেন?
Uttarakhand Disaster: সম্প্রতিকালে দেবপ্রয়াগ, জোশীমঠে মেঘভাঙা বৃষ্টি, হিমবাহে ধস, হড়পা বানের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরও দেবভূমিতে নির্মাণকাজে রাশ টানার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতেও টনক নড়েনি।
কেদারনাথ-বদ্রীনাথ ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছা অনেকদিনের? তবে আপনার সেই ইচ্ছা হয়তো অপূর্ণ হয়ে থাকবে। কারণ বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত হতে পারে চারধামের এই দুটি ধামই। শুনে অবিশ্বাস্য লাগলেও, এটাই হয়তো ভবিষ্যৎ। অন্তত জোশীমঠের পরিস্থিতি সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে।
ভয়ঙ্কর বিপদের মুখে জোশীমঠ। ধীরে ধীরে মাটি ধসে যাচ্ছে, বসে যাচ্ছে আস্ত একটা শহর। পাহাড়ের কোলে অবস্থিত এই ছোট্ট শহরের ৬০০-রও বেশি বাড়িতে ফাটল ধরেছে। ভেঙে দুই খণ্ড হয়ে যাচ্ছে রাস্তা-ঘাট। শুক্রবারই ভেঙে পড়েছে জোশীমঠের একটি মন্দির।
বাড়িতে ফাটল ধরায় আতঙ্কে দিন গুনছে সাধারণ মানুষ। যেকোনও মুহূর্তেই মাথার উপরের ছাদ ভেঙে পড়তে পারে, এই ভয়ে ঘরছাড়া হাজার হাজার মানুষ।
শুধু জোশীমঠ নয়, কর্ণপ্রয়াগ ও আউলিতেও ৫০টিরও বেশি বাড়িতে ফাটল ধরেছে।
দেবভূমির এই বিপদ নিয়ে শুক্রবারই রাজ্যের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী। ইতিমধ্যেই তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ৬০০ পরিবারকে দ্রুত স্থানান্তরের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী ধামী। সেখানে তিনি আকাশপথে প্রথমে গোটা এলাকা পরিদর্শন করে দেখেন। এরপরে তিনি পায়ে হেঁটেও জোশীমঠের যে এলাকাগুলিতে ফাটল ধরেছে, তা ঘুরে দেখেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সঙ্গে কথা বলেন।
উত্তরাখণ্ডে সংস্কার ও উন্নয়নের নামে যথেষ্ট নির্মাণকাজ নিয়ে আগে থেকেই সতর্ক করা হয়েছিল।
সম্প্রতিকালে দেবপ্রয়াগ, জোশীমঠে মেঘভাঙা বৃষ্টি, হিমবাহে ধস, হড়পা বানের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরও দেবভূমিতে নির্মাণকাজে রাশ টানার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতেও টনক নড়েনি।
বর্তমানে বিজ্ঞানী-জিওলজিস্টরা জানাচ্ছেন, যেকোনও মুহূর্তেই বড়সড় বিপর্যয় নেমে আসতে পারে জোশীমঠ সহ আশেপাশের একাধিক অঞ্চলে। এখনই স্থানীয় বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এই ভাঙন বিপর্যয়ের মারাত্মক প্রভাব পড়বে উত্তরাখণ্ডের পর্যটনের উপরে।
তবে এর থেকেও বেশি চিন্তা সাধারণ মানুষকে। কারণ, তাদের জীবীকা-জীবন নির্বাহ উঠে উঠেছিল জোশীমঠের হোটেল-পর্যটন ঘিরে। এবার জোশীমঠের অস্তিত্বই যদি না থাকে, তবে মাথার উপরে ছাদ ও রুজিরুটি, একসঙ্গেই খোয়াবেন বাসিন্দারা।
