
প্রাপ্তবয়স্ক ব্রণগুলি মূলত ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস নিয়ে গঠিত হয়। কিন্তু বেশির ভাগ প্রাপ্তবয়স্ক ব্রণর ক্ষেত্রে লালভাব, ফোলা, জ্বালা এবং সিস্ট ইত্যাদি লক্ষ্য করা যায়। আরেকটি অবস্থা হল রোসাসিয়া, একেও প্রাপ্তবয়স্ক ব্রণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়। তাহলে আসুন প্রাপ্তবয়স্ক ব্রণর কারণগুলি সম্পর্কে জানা যাক।

সাধারণত ইনফ্লেমেটোরি এবং বন্ধ ছিদ্রের জন্য এই ধরণের সমস্যা দেখা দেয়। তবে এছাড়াও কিছু কারণ রয়েছে। যেমন হরমোন। হরমোনের ভারসাম্য ত্বকের ওপর প্রভাব ফেলে যার জন্য প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেও ব্রণর সমস্যা দেখা দেয়। এটি পিএইচ ভারসাম্যহীনতা, প্রদাহ, সঞ্চালনের পার্থক্য বা অত্যধিক সিবাম তেল উৎপাদনের জন্যও হয়ে থাকে।

মহিলাদের ক্ষেত্রে ঋতুস্রাব, গর্ভাবস্থা, প্রসব পরবর্তী সময়কাল এবং স্তন্যপানের সময় ব্রণর সমস্যা দেখা দেয়। এগুলি নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। এগুলোও হরমোনজনিত কারণেই দেখা দেয় এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঠিক হয়ে যায়।

মানসিক চাপও ব্রণর জন্য দায়ী। আপনি যখন অত্যধিক মানসিক চাপ, উদ্বেগে ভোগেন তখন অ্যাড্রিনাল গ্রন্থিগুলি স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল আরও বেশি পরিমাণে উৎপন্ন করে, যার ফলে ত্বকে ব্রণর সমস্যা দেখা দেয়।

শারীরিক চাপও হরমোনের পরিবর্তন, দুর্বল অনাক্রম্যতা এবং প্রদাহকেও উদ্দীপিত করে। এই শারীরিক চাপ তৈরি হয় আবহাওয়া, জলবায়ু পরিবর্তন, অনিদ্রা, অসুস্থতা, ডিহাইড্রেশন ইত্যাদির কারণে। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যেসব ব্যক্তিদের মধ্যে এলার্জি, মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে এবং যারা অত্যধিক পরিমাণে ধূমপান করেন তাদের মধ্যে ব্রণর সমস্যা বেশি দেখা যায়।

অনেকের ধারণা ডায়েটের জন্য ব্রণর সমস্যা দেখা দেয় না। কিন্তু গবেষণা বলছে, অস্বাস্থ্যকর এবং অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার ব্রণ হওয়ার একটি কারণ। অন্যদিকে, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবেও অনেক সময় ব্রণর সমস্যা দেখা দেয়। সুতরাং একাধিক কারণে প্রাপ্তবয়স্ক ব্রণর সমস্যা দেখা দেয়।