
পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, কুবের মহারাজকে শাশ্বত সম্পদের মালিক মনে করা হয়। ভগবান কুবের অর্থ স্থিতিশীল রাখার কাজ করেন। আর দেবী লক্ষ্মী অর্থবর্ষণ করেন। তাই যে ব্যক্তি ভগবান কুবেরের আরাধনা করেন তার জীবনে কখনও অশুভ শক্তির প্রভাব পড়ে না।

একই সময়ে, কুবের সমস্ত বস্তুবাদী আনন্দ উপভোগ করেন। সেই কারণে যদি আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে থাকেব ও সঞ্চয় করার আপ্রাণ চেষ্টা করেন, তাহলে প্রতি বুধবার কুবের যন্ত্র বাড়িতে আনতে পারেন।

অর্থলাভের চেষ্টা করলে প্রতিদিন কুবেরের চালিসা পাঠ করতে পারেন। ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হতে শুরু করবে, আপনার চোখের সামনেই।

বুধবার কর্মস্থলে বা বাড়িতে পুজোর ঘরে বা ঠাকুরের মঞ্চে কুবেরের মূর্তি বা বাস্তু জিনিস রাখতে পারেন। প্রথমে গঙ্গাজল ও কাঁচা দুধ দিয়ে কুবেরের যন্ত্র অভিষেক করতে পারেন। এরপরে ওই যন্ত্রের সামনে একটি প্রদীপ ও ধূপকাঠি রেখে দিন।

এরপর কুবের চালিসা পাঠ করুন। এর সঙ্গে প্রতিদিন অভিষেক করার পর কুবের চালিসা পাঠ করতে পারেন। এর মাধ্যমে ধীরে ধীরে আর্থিক সঙ্কট কেটে যেতে পারে। এছাড়াও বেশ কিছু প্রতিকার মেনে চলতে পারেন।

প্রতিদিন সকালে উঠে স্নান সেরে ধনলক্ষ্মী ও ধনসম্পদের পুজো সারতে পারেন। ভগবান বিষ্ণু ও মহালক্ষ্মীর পুজোয় ক্ষীর নৈবেদ্য হিসেবে নিবেদন করতে পারেন। এর পর ১০৮ বার শ্রী মহালক্ষ্মায় নমঃ মন্ত্র জপ করুন। সম্ভব না হলে ১০৮বার মন্ত্র জপ করুন।

স্বামী-স্ত্রী মিলে এই প্রতিকার করলে শীঘ্রই শুভ ফল পেতে পারেন। মন্ত্র জপ করুন। এছাড়া প্রতিদিন যোগব্যায়ামের মাধ্যমে কুবের জপ মন্ত্র পাঠ করতে পারেন।

বাস্তুশাস্ত্র মতে, বাড়ির উত্তর-পূর্বে রূপোর তৈরি এক জোড়া সাপ। ঘরে পঞ্চনাগ বা জোড়া নাগ, একটি পাত্রের মধ্যে রাখতে পারেন। এই প্রতিকারের মাধ্যমে ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি বজায় সম্ভব হতে পারে।

স্নানের পরে, একটি মন্দিরে যান ও মহালক্ষ্মীর মন্ত্র - ওম শ্রী শ্রী শ্রী কমলে কমলালেয়ে প্রসিদ| প্রসিদ শ্রী শ্রী শ্রী শ্রী ওম মহালক্ষ্ম্যায় নমঃ মন্ত্র ১০৮বার জপ করুন। এর মাধ্যমে দূর হতে পারে বিশাল অর্থনৈতিক সংকট।