দারুচিনি শুধু রান্নায় মেশালে চলবে না, এই ৫ উপায়ে খেলে তবেই পুরনো জামায় ফিট হতে পারবেন
Cinnamon for Weight Loss: খাবারে স্বাদ বাড়াতে দারুচিনি ব্যবহার হয়। কিন্তু এই মশলার স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে। রক্তে শর্করার মাত্রা ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া আপনার খাবারে দারুচিনি থাকলে দ্রুত ওজন কমাতে পারবেন। তবে, সঠিক উপায়ে খেতে হবে।
শীতকালে ওজন কমানো কঠিন। কিন্তু অসম্ভব নয়। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে এবং স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চললে অনায়াসে ওজন কমাতে পারবেন। এই ডায়েটের অংশ করে তুলুন দারুচিনিকে।
খাবারে স্বাদ বাড়াতে দারুচিনি ব্যবহার হয়। কিন্তু এই মশলার স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে। রক্তে শর্করার মাত্রা ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া আপনার খাবারে দারুচিনি থাকলে দ্রুত ওজন কমাতে পারবেন।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণে ভরপুর দারুচিনি। এটি দেহে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং একাধিক রোগের ঝুঁকি কমায়। পাশাপাশি এতে থাকা ফাইবার হজম স্বাস্থ্য উন্নত করে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
মাংস বা তরকারি রান্না সময় শুধু দারুচিনি দিলে ওজন কমবে না। দারুচিনি খেতে হবে একটু অন্য উপায়ে। গরম জলে দারুচিনির কাঠি বা গুঁড়ো ভাল করে ফুটিয়ে নিন। এই দারুচিনির চা খেলে চট করে খিদে পাবে না এবং হজম ভাল হবে। তার সঙ্গে ওজন কমবে।
দারুচিনির চা বানানোর পাশাপাশি আপনি সাধারণ চা বা কফিতে চিনির বদলে দারুচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে চা-কফি খেতেও মিষ্টি লাগবে এবং ওজন কমবে। তার সঙ্গে পাবেন এই মশলার উপকারিতাগুলোও।
গরম জলে আদার রস, মধু ও এক চিমটে দারুচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে পান। ভারী খাবার খাওয়ার (লাঞ্চ বা ডিনার) পর এই মিশ্রণটি খেলে ওজন কমতে বাধ্য। পাশাপাশি গ্যাস-অম্বলের সমস্যা থেকেও আপনি মুক্তি পাবেন।
ব্রেকফাস্টেও রাখতে পারেন দারুচিনিকে। ওভারনাইট ওটস হোক বা দুধ দিয়ে ওটসের পায়েস, এতে স্বাদ যোগ করতে দারুচিনির গুঁড়ো মেশাতে পারেন। দারুচিনি ও ওটসের সংমিশ্রণকে পেটকে ভর্তি রাখবে, ওজন কমাবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করবে।
স্ন্যাকস হিসেবেও খেতে পারেন দারুচিনি। কোনও ফল বা সবজির স্মুদি বানানোর সময় মিশিয়ে দিন দারুচিনির গুঁড়ো। পাশাপাশি ফলের স্যালাদ খাওয়ার সময়ও আপনি দারুচিনির ছড়িয়ে খেতে পারেন।