
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় খাওয়া-দাওয়ার উপর বেশি জোর দিতে হবে। মা এবং শিশুর স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে গেলে দেহে পুষ্টির ঘাটতি হতে দেওয়া চলবে না।

গর্ভাবস্থায় হবু মায়ের শরীর নানা ধরনের হরমোনাল পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়। এসময় দেহে পুষ্টির ঘাটতি তৈরি হলে গর্ভস্থ ভ্রূণ ও হবু মায়ের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব পড়ে।

গর্ভস্থ ভ্রূণ ও হবু মায়ের স্বাস্থ্যের জন্য বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির প্রয়োজন। এসময় প্রোটিন, ভিটামিন, বিভিন্ন মিনারেল, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সবকিছুই রাখতে হবে ডায়েটে। পাশাপাশি কোন ৫ পুষ্টি সবচেয়ে জরুরি, রইল টিপস।

গর্ভস্থ ভ্রূণ ও হবু মায়ের স্বাস্থ্যের জন্য ফলিক অ্যাসিড ভীষণ জরুরি। গর্ভাবস্থার প্রথম পর্যায়ে ফলিক অ্যাসিডযুক্ত খাবার বেশি করে খাওয়া দরকার। এসময় চিকিৎসকেরাও ফলিক অ্যাসিডের সাপ্লিমেন্ট দেন। ফলিক অ্যাসিডযুক্ত খাবার হিসেবে আপনি ব্রকোলি, লেবুজাতীয় ফল, পালং শাক ইত্যাদি খেতে পারেন।

গর্ভাবস্থায় মহিলাদের শরীরে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি হতে দেওয়া যাবে না। তাই ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার হিসেবে আপনি দুগ্ধজাত পণ্য, তাজা শাকসবজি, বিভিন্ন ধরনের বাদাম খেতে পারেন।

গর্ভধারণ থেকে শুরু করে ভ্রূণের বেড়ে ওঠা, এমনকী প্রসবের পরও মায়ের ডায়েটে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার রাখা দরকার। যদিও মহিলাদের দেহে সবচেয়ে বেশি আয়রনের ঘাটতি দেখা দেয়। বেদানা, পালং শাক, মাংসের যকৃৎ ইত্যাদি খেতে আপনি দেহে আয়রনের চাহিদা পূরণ করতে পারবেন।

আয়রনের মতোই মহিলাদের দেহে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতিও দেখা দেয়। কিন্তু ভ্রূণের স্বাস্থ্য গঠনের জন্য এই পুষ্টি অপরিহার্য। যদিও সূর্যালোক ভিটামিন ডি-এর প্রধান উৎস। তবে, গর্ভাবস্থায় ডিম, দুগ্ধজাত পণ্য, মাশরুমও আপনাকে খেতে হবে। প্রয়োজনে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্টও গ্রহণ করুন।

গর্ভধারণ থেকে শুরু করে ভ্রূণের বেড়ে ওঠা এবং মায়ের স্বাস্থ্যের জন্য প্রতিটি পর্যায়ে প্রোটিন জরুরি। তাই অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মাছ, মাংস, ডিমের সঙ্গে আপোষ করবেন না। পাশাপাশি ডাল, শাকসবজি সবই কিছুই খাবেন।