
শীতকালে শুষ্ক ত্বকের সমস্যা খুব সাধারণ। কিন্তু আবহাওয়ার কারণেই যে আপনার ত্বক শুকিয়ে যাচ্ছে, এমনটা সবসময় হয় না। ত্বকের আর্দ্রতা অভাব আবহাওয়ার কারণে নাও হতে পারে।

ঋতু পরিবর্তন হলে ত্বকেও তার প্রভাব দেখা দেয়। পর্যাপ্ত আর্দ্রতার অভাবে ত্বক শুকিয়ে যায়। তখন ভারী ময়েশ্চারাইজার মাখলেও খুব বেশি উপকার পাওয়া যায় না। কিন্তু বুঝবেন কীভাবে, আপনার ত্বকের আর্দ্রতার প্রয়োজন রয়েছে?

শীতকালে শুষ্ক ত্বক আর্দ্রতার অভাবেই দেখা দেয়। কিন্তু হাইড্রেশনের অভাবে ত্বকে নানা লক্ষণ দেখা দেয়। এর অর্থ, আপনাকে প্রচুর পরিমাণে জল পান করতে হবে। কিন্ত কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনার ত্বকের হাইড্রেশন প্রয়োজন?

ত্বক আর্দ্রতার অভাবে শুকিয়ে যায়। শুষ্কতা ডিহাইড্রেশন ত্বকের প্রধান লক্ষণ। এই শুষ্ক ত্বকে যদি চুলকানি ছাড়াই চামড়া উঠতে থাকে এবং ময়েশ্চারাইজার মেখেও উপকার না পাওয়া যায়, বুঝবেন ত্বকের আর্দ্রতার প্রয়োজন।

ত্বকের যত্ন নেওয়ার পরও জেল্লা ফিরছে না? নিস্তেজ ও নিষ্প্রাণ ত্বক ডিহাইড্রেশনের লক্ষণ। ত্বকে যদি জেল্লা না থাকে, তাহলে বুঝবেন আপনার ত্বকের পুষ্টি ও জলের প্রয়োজন রয়েছে।

চোখের তলায় ডার্ক সার্কেল এবং কুঁচকে যাওয়া চামড়া ত্বকের ডিহাইড্রেশনের লক্ষণ। আপনার ত্বকে যদি পর্যাপ্ত আর্দ্রতা না থাকে, তাহলে চোখের নীচে কালো দাগ দেখা দেয়। ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট হয়ে যায়।

শীতকালে শুষ্কতা কারণে ত্বক চুলকায়। কিন্তু ময়েশ্চারাইজার বা বডি অয়েল ব্যবহারের পরও যদি ত্বক চুলকাতে থাকে, বুঝবেন এটা ডিহাইড্রেশনের লক্ষণ। এক্ষেত্রে আপনাকে ত্বকে অতিরিক্ত আর্দ্রতা প্রদান করা জরুরি।

শীতকালে শুষ্ক ও ফাটা ঠোঁটের সমস্যা খুব সাধারণ। কিন্তু প্রতিদিন লিপবাম ব্যবহার করলে এই সমস্যা দেখা দেয় না। যদি এর পরেও ঠোঁট ও ঠোঁটের চারপাশের চামড়া শুকিয়ে যায়, বুঝবেন ত্বকের আর্দ্রতার প্রয়োজন।