
ব্রণ-প্রবণ ত্বকের বিশেষ যত্ন নিতে হয়। ব্রণ তাড়ানোর জন্য নানা বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করেন অনেকেই। ফল যে মেলে তাও নয়। উল্টে ত্বকের ক্ষতি হয়।

ত্বকের ভাল রাখতে গেলে স্কিন কেয়ারের পাশাপাশি লাইফস্টাইলের উপর নজর দিতে হয়। কিন্তু সব ধরনের পণ্য ব্রণ-প্রবণ ত্বকের উপর ব্যবহার করা যায় না।

ব্রণ তাড়াতে অনেকেই নারকেল তেল, লেবুর রসের বিভিন্ন পণ্য ব্যবহার করেন। এগুলো আদৌ ত্বকের জন্য উপকারী কি? চলুন জেনে নেওয়া যাক, ব্রণ-প্রবণ ত্বকে কোন-কোন পণ্য ব্যবহার করা যায় না।

ব্রণর হাত থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করেন। কিন্তু এগুলো ব্রণর উপর ব্যবহার না করা ভাল। এসেনশিয়াল অয়েলের প্রভাব জোরাল হয়। এটি ব্রণর সমস্যা বাড়াতে পারে।

অনেক প্রসাধনী পণ্যে অ্যালকোহল পাওয়া যায়। সেসব পণ্য এড়িয়ে চলুন। ব্রণ প্রবণ ত্বকে অ্যালকোহল লাগলে প্রদাহ বাড়তে পারে। পাশাপাশি ত্বক শুষ্ক করে দেয়। ত্বকের পিএইচ স্তরের মাত্রা নষ্ট করে দেয়।

বাজারচলতি অনেক ফেসওয়াশে, টোনারে প্যারাবিন থাকে।প্যারাবিন প্রসাধনীকে ফাঙ্গাল, ব্যাকটেরিয়া ও ইস্টের হাত থেকে রক্ষা করে। কিন্তু ত্বকের জন্য মোটেই প্যারাবিন ভাল নয়। এটি ব্রণ সমস্যা বাড়াতে পারে।

বেশিরভাগ প্রসাধনীর মধ্যে সুগন্ধি যোগ করা হয়। এগুলো ত্বকে অ্যালার্জির সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। পাশাপাশি ত্বকে প্রদাহ বাড়িয়ে তোলে। তাই এই ধরনের পণ্য ব্রণ প্রবণ ত্বকে এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।

নারকেল তেল শুষ্ক ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী। কিন্তু ব্রণ প্রবণ ত্বক বা তৈলাক্ত ত্বকে নারকেল তেল সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। একইভাবে, আমন্ড অয়েলও ব্রণ প্রবণ ত্বকে এড়িয়ে যাওয়া উচিত।