রান্না এক ধরনের শিল্প। যে শিল্পে সবার হাত পাকা হয় না। তাই রান্নায় ভুল-চুক হয়ে যায়। আবার যাঁরা দক্ষ রাঁধুনি, তাঁরাও যে সবসময় সেরা রান্না করবেন, এমন হয় না। কখনও রান্নায় কম নুন আর বেশি ঝাল পড়েই যায়।
এমন অনেক ভারতীয় পদ রয়েছে, যা রান্না করতে টক দইয়ের প্রয়োজন পড়ে। কষা মাংস হোক বা পনিরের তরকারি, টক দই দিলে স্বাদও বেড়ে যায়। কিন্তু এমন অনেকেই রয়েছে যাঁরা রান্নায় টক দই ব্যবহার করতে ভয় পান।
এমন অনেক সময়ই ঘটে যখন রান্নায় টক দই দেওয়া মাত্র সেটা কেটে যায়। তখন রান্নার স্বাদও বদলে যায়। এমনকী নষ্ট হয়ে যায় খাবার। সব কসরত জলে যায়। এমন অবস্থার মুখোমুখি হতে না চাইলে মেনে চলুন সহজ কিছু টিপস।
রান্নায় টক দই দেওয়া মাত্র যাতে কেটে না যায়, তাহলে প্রথম থেকে আপনাকে সাবধান থাকতে হবে। রান্নায় টক দই দেওয়ার আগে, সেটা ভাল করে ফেটিয়ে নিন। এতে গ্রেভির টেক্সচার খুব ভাল আসবে এবং খেতেও খুব সুস্বাদু হবে।
রান্নায় টক দই ঢালার সময় আঁচের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। উচ্চ আঁচে রেখে একদম টক দই মেশাবেন না। আঁচ একদম কমিয়ে দিন। অথবা গ্যাস পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়ে তারপর দই মেশান। গ্রেভি যখন ফুটবে তখন দই মেশাবেন না।
রান্নায় দই মেশানোর পর ক্রমাগত মিশ্রণটি নাড়তে থাকুন। গ্রেভিতে টক দই মেশানোর পর খুন্তি দিয়ে ক্রমাগত নাড়তে হবে, যতক্ষণ না দইটা সম্পূর্ণরূপে গ্রেভির সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। এই টিপস না মানলে দই গ্রেভির সঙ্গে দলা পাকিয়ে যেতে পারে।
আপনি হয়তো ফ্যাট কম এমন দই খান। কিন্তু যখনই রান্নায় টক দই মেশানোর পরিকল্পনা করছেন, তখন উচ্চ ফ্যাটযুক্ত টক দই ব্যবহার করুন। এতে গ্রেভির ঘনত্ব ভাল হবে এবং খাবারের স্বাদ বাড়বে। এক্ষেত্রে ঘরে পাতা দইয়ের বদলে বাজারচলতি দই বা গ্রিক ইয়োগার্ট ব্যবহার করতে পারেন।
টক দই ব্যবহারের আগে অবশ্যই জল ঝরিয়ে নেবেন। এরপর এতে অল্প ময়দা বা কর্নস্টার্চ মিশিয়ে নেবেন। তারপর টক দই মেশাবেন গ্রেভির মধ্যে। এতে টক দই কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।