
শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কম থাকে। এর জেরেই ত্বকেও হাজারো সমস্যা দেখা দেয়। ঠিকমতো ত্বকের যত্ন নেওয়ার পরও ত্বকের নানা সমস্যা লেগেই থাকে। জাঁকিয়ে শীত পড়ার আগেই ত্বকের এই ৬ সমস্যা ও তার প্রতিকার জেনে রাখুন।

শীতকালে শুষ্ক ত্বক খুব সাধারণ সমস্যা। রোজের স্কিন কেয়ার রুটিনে ভাল মানের ময়েশ্চারাইজার রাখলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। অ্যালোভেরা জেলও মাখতে পারেন। এছাড়া সপ্তাহে একবার হলুদ ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

শীতকালে সানস্ক্রিন ছাড়া বাইরে বেরোনো বোকামি হবে। রোদের তেজ কম থাকলেও, ইউভি রশ্মির হাত থেকে ত্বককে বাঁচানো জরুরি। সানস্ক্রিন আপনার ত্বককে বার্ধক্যের হাত থেকেও রক্ষা করবে এবং মসৃণ ত্বক প্রদান করবে।

শুষ্ক ত্বক থেকেই সোরিয়াসিস, একজিমার মতো ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দেয়। আর এগুলো শীতকালে জোরাল হয়। কিন্তু আপনি যদি এই মরশুমে রোজ নারকেল তেল, সূর্যমুখীর তেল কিংবা অ্যাভকাডো অয়েল ব্যবহার করেন, তাহলে ত্বক হাইড্রেট থাকে এবং ত্বক কোমল থাকে।

খসখসে ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে আর্দ্রতা ফেরানো যায়। কিন্তু আর্দ্রতা অভাবে যদি ত্বক ফাটতে থাকে, তাহলে সাবধান হওয়া জরুরি। এটি ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যাওয়ার লক্ষণ। এক্ষেত্রে স্নানের সময় ওটমিল ও দুধের পেস্ট মাখুন।

শীতকালে ত্বকের পাশাপাশি ঠোঁটও শুকিয়ে যায়। ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় না রাখলে ঠোঁট ফাটতে শুরু করে। অনেক সময় ঠোঁট ফেটে রক্তপাতও হয়। এক্ষেত্রে ঠোঁটকে হাইড্রেট রাখলে লিপ বাম ব্যবহার করুন। পাশাপাশি রোজ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ঠোঁটে ঘি লাগান।

ঠোঁটের যত্ন নিতে গিয়ে গোড়ালির কথা ভুলবেন না। শীতকালে গোড়ালির যত্ন না নিলে ফাটতে পারে। তাই রোজ ফুট ক্রিম ব্যবহার করুন। পাশাপাশি আপনি গোড়ালিতে পেট্রোলিয়াম জেলিও লাগাতে পারেন।

শীতকালে ত্বকের দেখভাল করতে হবে গরম জলে স্নান এড়িয়ে চলুন। ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করবেন না। পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। আর ডায়েটে মরশুমি সবজি ও ফল রাখুন। এতেই শীতে ত্বক থাকবে মনের মতো।