
৪০ ডিগ্রির আশেপাশে ঘুরছে তাপমাত্রা। রোদে বেরোলে ত্বক ঝলসে যাচ্ছে। ঘামে ত্বকের বেহাল দশা। ত্বক ম্লান হয়ে আছে। এই অবস্থায় ত্বকের জেল্লা ফেরাতে এবং সতেজতা আনতে কাজে লাগান ঘরোয়া টোটকা।

ত্বকের ক্লান্তি দূর করতে ১ চামচ টক দইয়ের সঙ্গে ৪ চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে মুখে মাখুন। ১৫ মিনিট রেখে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। টক দই ও অ্যালোভেরার কুলিং এজেন্ট ত্বককে সতেজ করে তুলবে।

ট্যান পড়া ত্বকে সতেজতা আনতে ব্যবহার করুন টক দই, মধু, কফি ও কোকো পাউডার। এই উপকরণগুলো একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন প্যাক বানিয়ে নিন। এটি ত্বকে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাক ত্বকে তাৎক্ষণিক জেল্লা এনে দেবে।

টমেটো ত্বক থেকে দাগছোপ, ট্যান তুলতে সহায়ক। আর মধু ব্রণর সমস্যা দূর করে, ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। টমেটোর সঙ্গে মধু ব্লেন্ড করে নিন। এই মুখে ১০ মিনিট মেখে বসুন। এতে ত্বকের জেল্লা ফিরবে।

চন্দনের মধ্যে কুলিং এজেন্ট রয়েছে। পাশাপাশি এটি ত্বককে ফর্সা করে তোলে এবং জেল্লা বাড়ায়। ২ চামচ চন্দন গুঁড়োর সঙ্গে ১ চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে মুখে মাখুন। এটি ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমাবে এবং সতেজতা বাড়াবে।

গ্রীষ্মকালের সেরা ফল শসা। এটি যেমন ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে। আর ত্বকে কুলিং এফেক্ট এনে দেয় টক দই। শসা কুঁড়ে টক দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এটি ত্বকে উপর ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। সান বার্ন, জ্বালাভাব, র্যাশের হাত থেকে মুক্তি দেবে এই ফেসপ্যাক।

হাতের কাছে ফেসওয়াশ না থাকলে বেসনের সঙ্গে এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো, দুধ ও মধু মিশিয়ে মুখে মাখুন। এই ফেসপ্যাক ত্বকের তৈলাক্ত ভাব, ব্রণ, র্যাশের সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে। গ্রীষ্মকালীন ত্বকের সমস্যা থেকে সহজেই রেহাই পাবেন।

পুদিনা পাতা বেটে নিন। এতে গোলাপ জল ও এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে মুখে মাখন। এই ফেসপ্যাক ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করবে। পাশপাশি ত্বকে কুলিং এফেক্ট এনে দেবে পুদিনা পাতা। আর গোলাপ জলও ত্বকের পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখবে।