গ্রীষ্মকালের মতো প্যাচপ্যাচে গরম নেই। কিন্তু ঘাম হচ্ছে। তার সঙ্গে বৃষ্টিও। এই আবহাওয়া পরিবর্তনই ঘরে ঘরে সর্দি-কাশির সমস্যা বাড়াচ্ছে। বর্ষায় সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে রোজের ডায়েটে রাখুন ভেষজ চা।
তুলসির চায়ে ওষুধি উপাদান রয়েছে। এই চা সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করে, প্রদাহ কমায়। তাছাড়ে এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করে।
বর্ষাকালে দিনে অন্তত একবার আদা দিয়ে চা খান। এতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। এটি হজম স্বাস্থ্য ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে।
গরম দুধে এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন। এই পানীয়তে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান, বর্ষাকালে রোগের হাত থেকে আপনাকে সুরক্ষিত রাখবে।
লেবু ও মধুর চা স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। এই চায়ের মধ্যে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান রয়েছে, যা বর্ষাকালে সংক্রমণের হাত থেকে দূরে রাখে।
পুদিনা পাতার চা যেমন বদহজমের সমস্যা দূর করে, তেমনই ভাইরাল ইনফেকশনের হাত থেকেও রক্ষা করে। এই চায়ের মধ্যে অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল রয়েছে, যা ফুসফুসের স্বাস্থ্য উন্নত করে।
আয়ুর্বেদের মতে, অশ্বগন্ধার তৈরি চা স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। বর্ষাকালে মানসিক চাপ কমাতে এবং ইমিউনিটি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে অশ্বগন্ধার চা।
রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে দারুচিনির চা। এই চায়ের মধ্যে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান হজম স্বাস্থ্য উন্নত করে, শারীরিক প্রদাহ কমায় এবং ইমিউনিটি বাড়িয়ে তোলে।