
বাঙালির হেঁশেলে ঘি থাকবে না, এমন হয় না। হালুয়া হোক বা ডাল, এক চামচ ঘি দিলে স্বাদ বদলে যায়। শীতেও ঘি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। একইভাবে, এই ঋতুতে ত্বকে ঘি মাখলেও অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়।

ঘিয়ের মধ্যে উচ্চ পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে। এগুলো ত্বককে হাইড্রেট করে। সপ্তাহে একদিন আপনি ঘিয়ের ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। বেসন ও হলুদের সঙ্গে ঘি মিশিয়ে ত্বকের উপর ২০ মিনিট লাগাতে পারেন।

শুষ্ক হাতের যত্নে আপনি ঘি মাখতে পারেন। হ্যান্ড ক্রিম হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন ঘি। নারকেল তেল বা আমন্ড অয়েলের সঙ্গে ঘি মিশিয়ে দু'হাতে মাখতে পারেন। এতে হাতের চামড়া কোমল থাকবে।

হাতের পাশাপাশি মুখের ময়েশ্চারাইজার হিসেবেও ব্যবহার করা যায় ঘি। কম আঁচে ঘি গরম করে নিন। এরপর এর সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে মুখে মেখে নিন। ১৫ মিনিট রেখে ভিজে তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিন। এই টোটকায় দূর হবে শুষ্ক ত্বকের সমস্যা।

ঠোঁটকে এক্সফোলিয়েট করতে ঘি ব্যবহার করুন। সমপরিমাণ ঘি, মধু ও চিনি একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি ঠোঁটের উপর লাগিয়ে সার্কুলার মোশনে মালিশ করুন। এই লিপ স্ক্রাব ঠোঁটের উপর সমস্ত মরা কোষ দূর করে ঠোঁটের গোলাপি আভা ফিরিয়ে আনবে।

ত্বক থেকে বার্ধক্যের লক্ষণকে দূরে রাখতে চান? ঘিয়ের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও মিনারেল রয়েছে, যা ত্বকের জন্য উপযোগী। ঘি ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে ত্বকের উপর সার্কুলার মোশনে মালিশ করুন। ২০ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে নিন।

শুষ্ক ত্বকের যত্নে ঘি ব্যবহার করতে পারেন। শীতকালে নিশ্চয়ই বডি লোশন ব্যবহার করেন। এবার ঘিয়ের তৈরি বডি বাটার ব্যবহার করুন। শিয়া বাটার বা কোকো বাটারের সঙ্গে ঘি মিশিয়ে নিন। এটি হাত-পা ময়েশ্চারাইজ করতে ব্যবহার করতে পারেন।

শীতে ফাটা গোড়ালি সমস্যা খুব সাধারণ। কিন্তু রোজ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে যদি গোড়ালি ঘি মেখে নেন, ফাটা পায়ের সমস্যা সহজেই এড়াতে পারবেন। পাশাপাশি এতে ঘুমও ভাল হবে।