শরীরকে সুস্থ রাখতে ভিটামিন সি-এর জুড়ি মেলা ভার। এই পুষ্টি আমাদের দেহকে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। শরীরে ভিটামিন সি-এর ঘাটতি তৈরি হলে নানা রোগ ও সংক্রমণ দেখা দেয়।
সাধারণত মুসাম্বি লেবু, পাতিলেবু, আমলকির মতো ফলের উপর জোর দেওয়া হয় দেহে ভিটামিন সি-এর ঘাটতি পূরণ করতে। কিছু সবজিও রয়েছে ভিটামিন সি'তে পরিপূর্ণ। কিন্তু ফল ও সবজি ছাড়া বেশ কিছু মশলা ও ভেষজ উপাদান রয়েছে, যা ভিটামিন সি'তে সমৃদ্ধ।
রোজের খাদ্যতালিকায় হলুদ থাকেই। হলুদের মতো কার্যকর উপাদান খুব কম রয়েছে। হলুদের কারকিউমিন যৌগ খুবই শক্তিশালী। একইভাবে, হলুদের মধ্যে ভিটামিন সি'ও পাওয়া যায়। চা, দুধ, স্টু ও সবজিতে হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন।
বিশ্বের সবচেয়ে দামি মশলার তালিকায় রয়েছে কেশর বা জাফরন। ফুলের পাপড়ি থেকে পাওয়া যায় এই মশলা। খাবারে স্বাদ ও রং দুটোই এনে দেয় এই মশলা। এটি যেমন দামি তেমনই উপকারী। আর এই কেশরের মধ্যেও রয়েছে ভিটামিন সি।
ধনে গুঁড়োর মধ্যেও পাওয়া যায় ভিটামিন সি। ১ চামচ ধনে গুঁড়োর মধ্যে ১০.২ গ্রাম ভিটামিন সি পাওয়া যায়। আবার তাজা ধনে পাতার মধ্যেও আপনি ভিটামিন সি পেয়ে যাবেন। তাই এই মশলা ও ভেষজ উপাদানকে ডায়েট থেকে বাদ দেবেন না।
ফোড়ন দেন তেজপাতা দিয়ে। রান্না শেষে খাবার থেকে তুলে ফেলে দেন তেজপাতা। কিন্তু জানেন কি, এই ভেষজের মধ্যেও রয়েছে ভিটামিন সি। তাই এবার থেকে খাবারে স্বাদ বাড়ানো পাশাপাশি পুষ্টির জন্যও তেজপাতা ব্যবহার করুন।
স্টু থেকে শুরু করে স্যালাদ, রায়তাতে গোলমরিচই ভরসা। পুষ্টিবিদরাও বলেন, রোজের খাদ্যতালিকায় অল্প করে গোলমরিচ রাখতে। এই মশলার মধ্যে যেমন ভিটামিন সি পাওয়া যায়, তেমনই আরও অনেক পুষ্টিরও দেখা মেলে। তাই যেন-তেন প্রকারে এই মশলা ডায়েটে রাখতেই হবে।
ঝাল বাড়াতে কিংবা রান্নায় গাঢ় লাল রং আনতে শুধু লাল লঙ্কা ব্যবহার করেন? জানেন কি, লঙ্কার মধ্যেও মেলে ভিটামিন সি। লাল লঙ্কার গুঁড়ো হোক বা শুকনো লঙ্কা, এমনকী কাঁচা লঙ্কাতেও ভিটামিন সি পাওয়া যায়।