
বর্ষাকালে একটা বড় সমস্যা হল জামাকাপড় কেচে কোথায় শুকোতে দেবেন সেটা। যাঁদের নিজস্ব বাড়ি, অনেক জায়গা তাঁদের ব্যপারটা আলাদা। বিশেষ করে যারা ফ্ল্যাটে থাকেন তাঁদের ক্ষেত্রে সমস্যা আরও বেশি।

এই সময়ে বাধ্য হয়েই ঘরের ভেতরে জামাকাপড় শুকোতে দেন বেশিরভাগ মানুষ। বাস্তবিক দিক থেকে এটি প্রয়োজনীয় হলেও জ্যোতিষশাস্ত্র এবং বাস্তুশাস্ত্র মতে ঘরের মধ্যে ভেজা কাপড় শুকানোর বিশেষ কিছু প্রভাব পড়ে।

শক্তির প্রবাহে বাধা - জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, একটি ঘরের ভেতরে প্রাণশক্তি অবাধে চলাচল করা দরকার। ভেজা কাপড় থেকে নির্গত আর্দ্রতা এবং গন্ধ ঘরের ইতিবাচক শক্তি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে বলে ধরা হয়। এতে বাস্তুদোষ বাড়তে পারে, বিশেষ করে যদি কাপড় শুকানোর স্থান ঘরের উত্তর-পূর্ব কোণে হয়।

চন্দ্র এবং জলতত্ত্বের প্রভাব - বর্ষা ঋতুতে চন্দ্রের প্রভাব জলতত্ত্বে বেশি থাকে। ভেজা কাপড় ঘরে শুকোলে জলতত্ত্বের আধিক্য আরও বেড়ে যায়। যা মানসিক অস্থিরতা, অবসাদ ও আলস্য বাড়াতে পারে বলে জ্যোতিষে উল্লেখ আছে। তাই দীর্ঘ সময় ধরে ভেজা কাপড় ঘরে রাখা শুভ নয়।

স্বাস্থ্য যোগ - ভেজা কাপড় ঘরে শুকোলে ফাঙ্গাস ও ব্যাকটেরিয়ার জন্ম হয়, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমাতে পারে। জ্যোতিষ মতে এটি শনি এবং রাহুর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। যা দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশি বা ত্বকের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

সংসারের সমৃদ্ধিতে প্রভাব - ঘরের ভেতরে ক্রমাগত ভেজা কাপড় শুকোলে ধনলক্ষ্মীর কৃপা কমে যেতে পারে। কারণ ভেজা কাপড় থেকে যে স্যাঁতস্যাঁতে ভাব ছড়ায়, তা অলক্ষ্মীকে আহ্বান করে বলে মনে করা হয়।

সবটাই যে খারাপ, তা নয়। জ্যোতিষ মতে, যদি ঘরে শুকানো কাপড় পরিষ্কার এবং সুগন্ধি হয় তা পশ্চিম বা দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে শুকানো হয়, তবে নেতিবাচক শক্তি কমায়। গৃহস্থালির স্থিতি বজায় রাখে।

কাপড় শুকানোর সময় জানালা খোলা রাখা। শুকানোর জায়গায় লবঙ্গ বা চন্দনকাঠের ধূপ জ্বালাতে পারেন। কাপড় শুকানোর স্থান ঘরের দক্ষিণ বা পশ্চিম দিকে হওয়াই জ্যোতিষ এবং বাস্তু মতে ভাল। সেই ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব অনেকটাই কমে যায়।