
পুষ্টিবিদদের মতে, মরশুম ফল-সবজি খেলে সারাবছর সুস্থ থাকা যায়। আয়ুর্বেদও মনে করে, তাজা শাকসবজি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু সব ধরনের শাকসবজি বর্ষায় খাওয়া যায় না।

আয়ুর্বেদে, শারীরিক দশাকে ভাতা, পিত্ত ও কাফা ভিত্তিতে সংজ্ঞায়িত করা রয়েছে। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে শারীরিক অবস্থাও পরিবর্তন হয়। যে কারণে আয়ুর্বেদে বর্ষাকালে দই এড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।

আয়ুর্বেদের মতে, এমন বেশ কিছু শাকসবজি রয়েছে, যা বর্ষাকালে খাওয়া উচিত নয়। এতে সর্দি-কাশির সমস্যা দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি ডায়ারিয়া, পেট খারাপও হতে পারে। তাই স্বাস্থ্যকর হওয়া সত্ত্বেও বর্ষায় কোন-কোন শাকসবজি এড়িয়ে চলবেন, রইল টিপস।

বর্ষায় ক্যাপসিকাম বা বেলপেপার এড়িয়ে চলুন। বর্ষাকালে এই খাবার খেলে গ্যাস-অম্বল, পেট ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। একইভাবে, এড়িয়ে চলুন টমেটোও।

পালং শাক শীতের খাবার। তাই বাজারে পাওয়া গেলেও বর্ষায় এই শাক খাবেন না। যদিও বর্ষায় যে কোনও ধরনের শাক না খাওয়াই ভাল। এতে হজমজনিত নানা ধরনের রোগের ঝুঁকি থাকে।

আয়ুর্বেদের মতে, ফুলকপি, বাঁধাকপি বর্ষাকালে না খাওয়াই ভাল। এসব কপির মধ্যে কুলিং এফেক্ট রয়েছে। পেটের গণ্ডগোল এড়াতে চাইলে বর্ষায় এসব খাবার না খাওয়াই স্বাস্থ্যের জন্য উপযুক্ত।

বর্ষায় পেটকে ঠান্ডা রাখতে, হজমের গণ্ডগোল এড়াতে লাউ খান। লাউয়ের তৈরি যে কোনও পদ বর্ষার জন্য উপযুক্ত। তাছাড়া এই সবজির মধ্যে যে পুষ্টি রয়েছে, তা হজম স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে সাহায্য করে।

বৃষ্টির দিনে ঝিঙে পোস্ত বা ঝিঙে দিয়ে মাছের ঝোল রেঁধে খেতে পারেন। ঝিঙে হজম স্বাস্থ্য উন্নত করতে, ত্বকের সমস্যা কমাতে এবং রক্তাল্পতার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। বর্ষায় দেহের শারীরিক প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে ঝিঙে।