
শীতকাল আসার আগেই বাজারে দেখা পাওয়া যায় পালং শাকের। সুপারফুড বলা হয় পালং শাক। এই মরশুমে পালং শাক খেলে আপনি সারা বছর সুস্থ জীবনযাপন করতে পারবেন। কিন্তু পালং শাক দিয়ে ত্বকের দেখভাল করার কথা কখনও ভেবেছেন?

পালং শাকের মধ্যে ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন কে রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে আয়রন, ফোলেট এবং পটাসিয়াম। এসব উপাদান ত্বকের সমস্যা কমাতে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য গঠনে সাহায্য করে।

পালং শাকের জুস পান করলে শরীর থেকে সমস্ত দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায়। এতে ব্রণ, র্যাশের সমস্যা কমে। পাশাপাশি এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ত্বককে ফ্রি র্যাডিকেলের হাত থেকে রক্ষা করে।

বলিরেখা, সূক্ষ্মরেখা, মুখের যাবতীয় দাগছোপ থেকে দূরে থাকতে পালং শাকের সঙ্গে বন্ধুত্ব করুন। পালং শাকের মধ্যে ভিটামিন কে ও ফোলেট রয়েছে, যা আপনাকে এনে দেয় পরিষ্কার ও উজ্জ্বল ত্বক। এটি দাগছোপও কমায়।

পালং শাকের মধ্যে ভিটামিন বি রয়েছে, যা ত্বককে ইউভি রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে। সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি সময়ের আগে আপনার ত্বকে বার্ধক্য ডেকে আনে। কিন্তু রোজ পালং শাক খেলে ত্বকের সমস্যা সহজেই কমানো যায়।

রোজ ডায়েটে পালং শাক রাখলে একাধিক রোগের হাত থেকে সুরক্ষিত থাকা যায়। এমনকি ত্বকের সমস্যাকেও ধারে কাছে ঘেঁষে না। কিন্তু খাওয়ার পাশাপাশি আপনি মুখেও পালং শাক মাখতে পারেন। এই উপায়েও আপনি ত্বকের সমস্যা ঠেকাতে পারেন।

পালং শাক ব্রণ, ব্রেকআউটের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। ব্রণর সমস্যা দূর করতে তাজা পালং শাক অল্প জল দিয়ে বেটে নিন। এই মিশ্রণটি আপনি ব্রণর উপর লাগাতে পারেন। ৩০ মিনিট রেখে সাধারণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।

ত্বকের সমস্যা কমাতে পালং শাক ও দইয়ের ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন। পালং শাক ও টক দই একসঙ্গে পেস্ট করে নিয়ে ত্বকের উপর লাগান। মিনিট পনেরো অপেক্ষা করুন। তারপর মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাক পিগমেন্টেশনের সমস্যা দূর করবে।